ক্যাম্পাস স্টার রোজী
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
শামীমা আক্তার রোজী। ডাক নাম রোজী। তবে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের কাছে সে রোজ নামে পরিচিত। একটু লাজুক, তবে মিশুক। বিস্তর প্রতিভা। পড়ার টেবিল থেকে খেলার মাঠ বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন। কোথায় নেই তার প্রতিভার ছোঁয়া। শরিয়তপুর জেলার সদর উপজেলায় বেড়ে ওঠা রোজীর। বাবা মৃত আজহারুল ইসলাম এবং মা মালেকা পারভিনের আদুরে সন্তান রোজী। প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ধাপে রেখে এসেছেন মেধার পরিচয়। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে পেয়েছেন বৃত্তি।
২০১৩ সালে ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে। সম্প্রতি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের স্মাতক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। ফলাফলে সবার শীর্ষে অবস্থান করে নিয়েছেন শামীমা আক্তার রোজী। জিপিএ-৪ এর মধ্যে লাভ করেছেন ৩ দশমিক ৮৩। তবে এজন্য কম খাটুনি খাটতে হয়নি তাকে। নিয়মিত ক্লাস করা, ক্লাসে মনযোগী থাকা, বাসায় লেকচার নোটে প্রতিনিয়ত চোখ বুলানো সব কাজগুলো তার ঠিকঠাকভাবে করতে হয়েছে সময়মতো। মেধাবী এ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অবস্থায় দু’বার মেধা বৃত্তি লাভ করেছেন। রোজী বলেন, পড়াশোনার জন্য পরিবার এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে সব সময় উৎসাহ পেয়েছি।
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেন শিক্ষক হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর স্বপ্নটা আরো বড় হতে থাকে। হতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বপ্ন নিয়ে ছুটে চলা রোজীর চোখে মুখে যেন তৃপ্তির ছাপ। ইচ্ছা থাকলেই যেন সব কিছু অর্জন করা সম্ভব। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর থাকতে হবে ধৈর্য্য ও সততা, বললেন রোজী। নিজের সম্পর্কে মৃদু হেসে বলেন, আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আগেভাগেই প্রস্তুত থাকি। এরপর কাজ শুরু করলে সবকিছু বেশ সহজই মনে হয়।
ভালো ফলাফল করা সম্পর্কে এই মেধাবী বলেন, নিজের স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পড়াশোনা করলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। এজন্য একটু তো পরিশ্রম করতেই হবে। একাগ্রতা থাকতে হবে। পাশাপাশি থাকা চাই ধৈর্য্য। ধৈর্য্য থাকলে সাফল্য আসবেই।
শুধু ক্লাস পরীক্ষা নয়, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও সফলতার চিহ্ন এঁকেছেন এই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসিওলোজি ক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রথম আলো-বন্ধুসভার নারী বিষয়ক সম্পাদক পদ দুটো তার দখলে। নিয়মিত সাহিত্য চর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আঙ্গিনাও চষে বড়িয়েছেন জ্ঞান পিপাসু রোজী। বই-পাগল রোজীর সময়ের কাজ সময়ে করাটা অভ্যাসে রূপ নেয়। তবে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেয়া, টিভি দেখা, খেলাধুলা থেকে পিছিয়ে ছিলেন না কখনোই। নিজে স্বপ্ন দেখছেন, উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে একজন সমাজ বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরতে চান।