অ্যাপ প্রতিযোগিতার ত্রি-রত্ন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
তানভীর আহমদ, মুনতাসির হামিদ ও রকিবুল হাসান। তাঁরা তিনজন পড়েন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সবাই। ‘কোড ফর বাংলাদেশ’ নামের এই প্রতিযোগিতার কথা জেনেছিলেন প্রথমে ফেসবুকে। এরপর জানলেন, ৩-৪ মার্চ প্রতিযোগিতাটি হবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে আটটি বিভাগে অ্যাপস বানানোর প্রতিযোগিতা হবে। এটির নাম হলো ‘ব্র্যাকাথন-২’। তবে ‘প্যারেন্টোল কেয়ার’ ক্যাটাগরিটি খুবই আকর্ষণীয় মনে হওয়ায় তাঁরা সেই বিভাগে নাম লেখালেন। এরপর স্যারদের কাছে গেলেন। তাঁরা দলের নাম দিলেন ‘সাস্ট হেক্সা কোর’। নাম লেখানোর পর থেকে তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল—তাঁরা ভালো করবেন। প্রতিযোগিতা ও তাঁদের অ্যাপস নিয়ে বলতে গিয়ে দলনেতা তানভীর বললেন, “আমাদের এই অ্যাপসের নাম ‘ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ নিউট্রেশন।’ তাতে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য যত্ন কী হওয়া উচিত এবং নবজাতক সন্তানের কিভাবে যত্ন নিতে হবে সেটি থাকবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের কোন খাবারটি কতটুকু খাওয়া প্রয়োজন, তিনি কিভাবে নিজের যত্ন নেবেন তা এখানে থাকবে। আর শিশুকে কিভাবে যত্ন নিলে সে ভালোভাবে বেড়ে উঠবে, সেটিও থাকবে।” তিনি আরো বললেন, ‘এখানে তাদের চিকিৎসা নিয়েও অনেক তথ্য থাকবে।’ তানভীর জানালেন, ‘আমি এখানে কোড ইমপ্লিমেন্টেশন করেছি। মুনতাসির অ্যাপসের কাঠামো তৈরি করেছে, রকিব ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করেছে।’ মুনতাসির জানালেন, অ্যাপসটি তৈরির জন্য তাঁরা তথ্যগত অনেক সমস্যায় পড়েছেন। অনেক খুঁজেও যখন তথ্য পাননি, স্যারদের সাহায্য নিয়েছেন। বাজারের বইগুলোর সাহায্য তো নিয়েছেনই। অ্যাপসটির বিশেষত্ব কী—এ প্রশ্নের জবাবে রকিব বললেন, ‘আমাদের অ্যাপসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত থাকবে। ফলে অ্যাপস নিজেই অনেক সময় সিদ্ধান্ত দিতে পারবে।’ দলের ম্যানেজার ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ও সাবির ইসমাইল। তাঁরা বলেন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই অ্যাপসে মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে জানা যাবে।
প্রতিযোগিতায় অ্যাপসটি উপস্থাপনের পর বিচারকরা এটি দেখে তো মহাখুশি। তাঁরা একে ‘ইনোভেটিভ’ ও ‘ইউনিক’ আইডিয়া হিসেবে উল্লেখ করলেন। ফলে তাঁরা প্যারেন্টাল কেয়ার বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন। তবে যৌথভাবে তাঁদের সঙ্গে ছিল ইউআইটিএসের ‘কার্ডিনাল’। তাঁরা চার লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। তানভীর বললেন, ‘আমাদের অ্যাপসটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এটি পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে অনেক তথ্য প্রয়োজন। ব্র্যাক এর উন্নয়ন ও তথ্যগত সহায়তা দেবে।’ এর আগে তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি দল ‘সলভেথন ২০১৭’ নামের অ্যাপস বানানোর প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে।