চাইনিজ ব্রিজ জয়ী জোবায়দা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
জোবাইদা তাহসিন দেওয়ান ২০১৭ সালের চাইনিজ ব্রিজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে প্রথম হন। তারপর চীনে গিয়ে আরও ১১৪টি দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এশিয়ায় প্রথম হন। যার সুবাদে সে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ স্থান করে নেয় সেরা ১৫-তে। জোবাইদা জানান, তিনি সিআরআই কনফুসিয়াস ক্লাসরুমে বেশ কয়েকবছর ধরে চাইনিজ ভাষা শিখছিলেন। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী, তিনি ২৫ বছর ধরে চীনে বাস করছেন। চীনের প্রতি বাবার ভালোবাসা দেখে তিনিও চীনে যান এবং চীনা ভাষা শেখা শুরু করেন। ২০১৩ সালে প্রথমবার চাইনিজ ব্রিজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন জোবাইদা। সেবারেও তিনি বাংলাদেশে প্রথম হয়ে চীনে গিয়ে ৬৩টি দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ‘বেস্ট স্পিকিং’ প্রাইজ পেয়েছিলেন। এতে তিনি আরও উত্সাহিত হন। প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ছয়মাসের স্কলারশিপ পেয়েছিলেন জোবাইদা। এরপর তিনি চীনে ইউন্নান নরমাল ইউনিভার্সিটিতে চীনা ভাষা নিয়ে পড়তে যান। এসময় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেশার অভিজ্ঞতা হয় তার। পরবর্তীতে এই অনুপ্রেরণা নিয়েই ২০১৭ সালের চাইনিজ ব্রিজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
জোবাইদা বলেন, ‘আমি কখনো ভাবতে পারিনি এতদূর যেতে পারব। চীন সরকার ও দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই, কারণ তারাই আমাকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সিআরআই কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের সকল শিক্ষকের কাছে কৃতজ্ঞ।’ শিগগিরই চীনে মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করতে যাবেন জোবাইদা তাহসিন দেওয়ান। তার ইচ্ছা, দেশে ফিরে দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন। এছাড়াও দু দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ও বন্ধুত্বে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখেন তিনি।