মেডিকেল শিক্ষার্থীদের রেডিও
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন রেডিও ‘রেডিও মেডিটিউন’। ‘সাউন্ডস অব মেডিকেল লাইফ’ এই মোটো নিয়ে এই রেডিওর শুরুটা হয় মূলত ঢাকা মেডিকেল কলেজের লিসানুল হাসান প্রিয়ক, ফাহিম পারভেজ আহমেদ আর বিভাস বিশ্বাস ঈশিকের হাত ধরে। এছাড়াও এই রেডিওর মূল টিমে এখন কাজ করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শান্তনু, আবীর, নিশি, সাঁচি, হৃদয়, তোফায়েল আর তানভীর, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের মিহাম আর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজের বিভা।
মেডিটিউনের শুরুর গল্প বলতে গিয়ে রেডিওর অন্যতম উদ্যোক্তা লিসানুল হাসান প্রিয়ক বলেন, ‘কলেজ লাইফে স্বপ্ন ছিল যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে রেডিও জকি হিসেবে কাজ করব। মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর দেখতে পাই যে মেডিকেলের প্রচুর পড়াশোনার চাপে আমরা অনেকেই আমাদের সৃজনশীলতার চর্চা করতে পারছিলাম না। কিন্তু এখানেও প্রচুর মেধাবী আছে যারা গান, কবিতা, বিতর্ক—এসব নানা ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। তখন আমার মনে হতে লাগল যে, এসব প্রতিভাকে বিকশিত করা এবং নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে গিয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে আইডিয়া নিতে লাগলাম। এভাবে বেশ কয়েকমাসের মধ্যে আমরা রেডিওর একটা বেসিক সফটওয়্যার সেটিংস দাঁড় করিয়ে ফেললাম।’
আপাতত ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছেলেদের হোস্টেল আর মেডিসিন ক্লাবের রুম থেকে লাইভ ব্রডকাস্ট করা হলেও তাদের পরিকল্পনা আছে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেলের ক্যাম্পাস থেকে লাইভ ব্রডকাস্ট করার। বাংলাদেশের ৩২টি মেডিকেল কলেজে রেডিও মেডিটিউনের প্রায় ৭০ জনের মতো প্রতিনিধি আছে, যাদেরকে বলা হয় ‘ক্যাম্পাস টিউনার’। রেডিও মেডিটিউনের শো হয় প্রতি বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে বারটা পর্যন্ত। লাইভ ও রেকর্ডেড—দু ধরনের প্রোগ্রামই হয়। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গান, কবিতা আবৃত্তি, ইন্টারভিউ, কৌতুক এসব পাঠিয়ে দেন। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক আর চিকিৎসকেরাও এতে অংশ নেন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপের মাঝে ও সপ্তাহের একটি দিনে বিনোদনের চমৎকার উৎস রেডিও মেডিটিউন। আর সব মেডিকেল কলেজের সংস্কৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রেডিও মেডিটিউন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস রেডিও। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রিয় ক্যাম্পাস রেডিওটি আগামী ৪ অক্টোবর প্রথম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে।
ক্যাম্পাস রেডিও মেডিটিউন নিয়ে ভবিষ্যত্ ভাবনার কথা জানান রেডিওটির আরেক উদ্যোক্তা ফাহিম পারভেজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন রেডিও মেডিটিউন একদিন বাংলাদেশের সব মেডিকেলে ছড়িয়ে যাবে। আমরা পাস করে বের হয়ে যাওয়ার পর জুনিয়র ব্যাচের ভাইবোনেরা এর হাল ধরবে। রেডিও মেডিটিউনের প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে একটা সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়ে যাবে।’
আপনার মোবাইল ফোনে রেডিও মেডিটিউন শুনতে চাইলে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করতে পারেন listen2myradio এই অ্যাপ্লিকেশনটি। আর আপনার ইন্টারনেট কানেকশন অন করে সার্চ করতে পারেন radiomeditune তাহলেই আপনি রেডিও মেডিটিউন শুনতে পাবেন।