হল্ট প্রাইজের আঞ্চলিক পর্বে লড়বে ‘প্যারামিটার’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বিশ্বখ্যাত হল্ট প্রাইজ-২০১৮ এর আঞ্চলিক পর্বের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগীতাটি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। ব্যবসায়িক ধারণা ও বাস্তবতার নিরিখে বিচারকমণ্ডলীর রায়ে অংশগ্রহণকারী ৭টি প্রকল্পের মধ্যে পারদর্শিতা ও আইডিয়ার সর্বজনগ্রাহ্যতার ভিত্তিতে ময়লা ও বর্জ্য খেকে গ্যাস উৎপাদনকারী প্রকল্প ‘প্যারামিটার’ সেরা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে প্রতিযোগীতার জন্য মনোনীত হয় এবং এ দল ২০১৮ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত রিজিওনাল ফাইনাল পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন: শামসুন নাহার, নাদিম মাহামুদ, অমিত সাহা এবং দেবাঞ্জনা সাহা। এরা সবাই ড্যাফোডির ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তিন সদস্যের জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন, কাজী ফার্মস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী ইশতিয়াক আহমেদ, ফ্রন্টিয়ার টেনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস হুমায়রা চৌধুরী এবং তরু ইন্সটিটিউট অব ইনক্লুসিভ ইনোভেশন এন্ট্রাপ্রাইজ ডিজাইনের প্রধান মনসুরুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মাসুম ইকবাল, এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ বিভাগের প্রধান শিবলী শাহরিয়ার, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের লেকচারার সাবিহা মতিন বিপাশা ও হল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন শিমুল ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, হল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা সারা বিশ্বের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্টার্ট আপ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমসাময়িক সামাজিক ইস্যু নিয়ে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রদান করে থাকে। এটি একটি বার্ষিক প্রতিযোগিতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রচারণামূলক শিক্ষার্থী কর্মকাণ্ড। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি হবে এবং তরুণ উদ্যোক্তা উঠে আসবে যারা সমাজের বড় বড় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখবে।
হল্ট প্রাইজের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতিসংঘের সহযোগিতায় বিশ্বের পরবর্তী পরিবর্তনকারী স্টার্ট আপ খুঁজে বের করা এবং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সামাজিক সমস্যা সমাধানের আইডিয়া প্রদানকারী দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা ও বিজয়ী দলকে ফান্ডিং হিসেবে ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রদান করা। উল্লেখ্য, হল্ট প্রাইজের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে যেখানে বিজয়ী দল পাবে ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার।