শাহানুলের প্লাংটোপিডিয়া
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
প্লাংটন নিয়ে কাজ করার প্রথম শর্তই হচ্ছে তার প্রজাতি শনাক্ত করা। যার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নানা বই ও ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকেন। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশে সব প্রতিষ্ঠানে প্রজাতি শনাক্তকরণের সব ধরনের বই ও ইন্টারনেট সুবিধা নাও থাকতে পারে । আর সেসকল সমস্যাকে আমলে রেখে চীন প্রবাসী সমুদ্রবিজ্ঞানে পিএইচডিরত বাংলাদেশি ছাত্র এম শাহানুল ইসলাম ‘প্লাংটোপিডিয়া’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন।
এম শাহানুল ইসলাম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে চীনের তাইয়ানজিন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে পিএইচডিরত আছেন।
এম শাহানুল ইসলাম জানান, গত মাসে তার সুপারভাইজার সামুদ্রিক প্লাংটন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সুন জুনকে ‘প্লাংটোপিডিয়া’ নামে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রস্তাবনা দেন এবং অনুমতি চান। পরবর্তীতে প্রফেসরের অনুমতিতে ও তার ল্যাবের সহায়তায় তিনি এ অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেন, সম্প্রতি যার পরীক্ষামূলক সফটওয়ারটি গুগল প্লে স্টোরে দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে অ্যাপটির কোডিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিবিবাইটঅ্যাপস সফটওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাহমুদুল হাসানকে। তবে ডিজাইন ও তথ্য বিন্যাস এম শাহানুল ইসলাম নিজ হাতেই করেছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাত্র ১০ দিনে বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, স্পেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ হতে প্লাংটোপেডিয়ার ডাউনলোড পর্যবেক্ষণ করা গেছে এবং ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ বছরের শেষের দিকে একটি কনফারেন্সের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্লাংটোপেডিয়া পরিপূর্ণ আস্থা পেতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।
এই অ্যাপ্লিকেশনটির আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই এটি খুব সহজেই ছবিসহ যেকোনো প্লাংটনের বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করবে এবং সেটির বৈশিষ্ট্য দেখার ব্যবস্থাও থাকবে। গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট ছাড়াই অনায়াসেই প্রাণীগুলোর ছবি ডাউনলোড করা যাবে। শিক্ষার্থী ও গবেষক এম শাহানুল সকলের দোয়া এবং উৎসাহে প্লাংটোপেডিয়াকে এগিয়ে নিতে চান তার অভিষ্ট লক্ষ্যে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর বাংলাদেশের সকল মৎস সম্পদকে চোখের পলকে হাতের মুঠোয় আনতে ৫৬৫টি মত্স্য প্রজাতির সকল প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্য সমৃদ্ধ বিডি ফিশপিডিয়া নামক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন, যা চলবে ইন্টারনেট ছাড়া।