কুবি শিক্ষার্থীদের ‘অভয়ারণ্য’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী ২০১৫ সালে গড়ে তুলে ‘অভয়ারণ্য’ নামক একটি সংগঠন। দেশে যেখানে ২৫ ভাগ বনভূমির থাকার কথা সেখানে রয়েছে মাত্র ১৩ ভাগ। যার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বায়ুর নিম্নচাপ ও প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, অপর্যাপ্ত কলখানার ব্যবস্থা, ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ-স্থাপনার ফলে ভূমিধস ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ‘বায়ুমণ্ডলের ক্ষতিকর কার্বন ডাই- অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি প্রথমবারের মতো বিপজ্জনক প্রতীকী মাত্রা ৪০০ পিপিএম ছাড়িয়ে গেছেন। তাই তাদের লক্ষ্য বৃক্ষে ভরপুর ক্যাম্পাস গড়া। অভয়ারণ্য প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃক্ষ রোপণ অভিযান চালিয়ে থাকে। ফলজ, বনজ ও ওষধি বৃক্ষ রোপণ করে থাকে তারা। শুধু রোপণেই তারা সীমাবদ্ধ নয়, গাছের চারাগুলো বড় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যথাযথ পরিচর্যা নিয়ে থাকে। তরুণপ্রজন্মকে বৃক্ষরোপণে উত্সাহী করতে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনারও আয়োজন করে সংগঠনটি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে সকলেরই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন কোনো দেশের একক সমস্যা নয়, পৃথিবীর এই পরিস্থিতিতে থেকে উত্তোলনে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নাহিদ ইকবাল বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনগত সমস্যা। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীকে মানুষের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশগত বিষয় নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ক্যাম্পাসকে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কাজ করছি।’