হাল্ট প্রাইজ চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিলের ‘ক্রাফটিকস’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ’-এর অন ক্যাম্পাস ফাইনাল রাউন্ড শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘ক্রাফটিকস’। এছাড়া প্রথম রানার আপ হয়েছে ‘টিম এস্পায়ার’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ‘টিম স্বাধীন নারী’। এবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরির মূল্যায়নে বিশ্বের ১২০০+ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালাল ইউনিভার্সির্টির অবস্থান বিশ্বে প্রথম এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৫৮০ জন। ফলে এ অন ক্যাম্পাস ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ দল তিনটি বিভিন্ন রিজিওনাল ফাইনালে অংশগ্রহণকরার সুযোগ পাবে।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান মো. শিবলী শাহরিয়ার, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান, ক্লাউড ক্রিয়েটিভ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী নাশিদ আলী, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রভাষক ও হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার উপদেষ্টা আসিফ ইকবাল, বিউটি আক্তার, হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন শিমুল প্রমুখ।
চ্যাম্পিয়ন দলের তিন সদস্য তিশা ফারহানা, রইস উদ্দিন ফাহাম ও নওরিন নিশিতা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত রিজিওনাল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অপরদিকে প্রথম রানার আপ ‘টিম এস্পায়ার’ দল মালয়েশিয়ায় এবং এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ‘টিম স্বাধীন নারী’ ভারতের মুম্বাইয়ে রিজিওনাল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। আর রিজিওনাল ফাইনালে বিজয়ী হতে পারলে আগামী বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন তারা। বিজয়ী দল পাবে ১০ লক্ষ মার্র্কিন ডলার পুরস্কার।
পুরস্কার ঘোষণার সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, বাংলাদেশ একটি সমস্যা সংকুল দেশ এবং একারণেই দেশটি অসীম সম্ভাবনাময়। সমস্যাগুলোর সমাধানে যেসব তরুণ উদ্ভাবনী মেধা প্রয়োগ করতে পারবে তারাই জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেই চলবে না, বিশ্বের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম তুলে ধরতে হবে।
চূড়ান্ত পর্বে বিশেষজ্ঞ জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লাইট ক্যাসল পার্টনারস্ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিজন ইসলাম, ক্লাউড ক্রিয়েটিভ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাশিদ আলী, এবং জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলাপমেন্ট ফান্ডের ইনোভেশন এন্ড ক্যাম্পেইন ম্যানেজম্যান্টের জাতীয় পরামর্শক তানজিম ফেরদৌস। এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল স্কিল জবস, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, টেকনোহেভেন লিমিটেড ও আর্ট এক্সপ্রেস টুইস্টেড ক্যাফে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল একুশে টেলিভিশন, দি ডেইলি স্টার, প্রথম আলো এবং কালারস্ এফএম ১০১.৬।
উল্লেখ্য, হাল্ট পরিবার ২০০৯ সাল থেকে হল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এটি বিশ্বের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক আসর। এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানমূলক উদ্ভাবনী আইডিয়া উপস্থাপন করেন। পুরস্কার বিজয়ী আইডিয়া বা স্টার্টআপ বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ডলার।