সর্বজয়া মেঘলা
- গাজী আনিস
খেলাধুলা, নাচ, গান, অভিনয়, রান্নাবান্না ও বিতর্ক এই বিষয়গুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে একটি নামের সঙ্গে। তিনি হলেন মেঘলা আক্তার মিতু। পড়ছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। প্রতিভা ও মেধার কারণে তাকে ‘সর্বজয়া মেঘলা’ নামেই ডাকেন শিক্ষক ও সতীর্থরা। অতি অল্পসময়ে তিনি নিজেকে চিনিয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। অর্জনের ঝুলিতে ভরেছেন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার। সেই হিসেবে নিজেকে সফল মনে করেন মেঘলা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে নিজেকে সেবক হিসেবে দেখেন তিনি। সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের হাত ধরে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএনসিসি প্লাটুনের পক্ষ থেকে নারী ক্যাডেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রমনা রেজিমেন্টে।
সম্প্রতি জানুয়ারি ২০১৯ এ ক্যাডেট এম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন মেঘলা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানে বিশ্বের ৮টি দেশের ক্যাডেটদের কাছে উপস্থাপন করেছেন দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে।
এছাড়া ২০১৭তে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে ক্যাডেট এম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেঘলা। বিজয় দিবসে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে।
কোন অর্জনে সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করেন? প্রশ্নের জবাবে মেঘলা বলেন, সবগুলো অর্জনই আমার কাছে অনেক বেশি মূল্যবান। আলাদা করে বলতে গেলে একজন ক্যাডেট হিসেবে অর্জিত সম্মানগুলো নিয়েই সবচেয়ে বেশি গর্বিত আমি। কারণ একজন ক্যাডেট হিসেবে যাপন করা প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে আরো বেশি নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার সাথে নিজেকে এগিয়ে নিতে শিখিয়েছে। সবসময় সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাই। স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের সকল তরুণ-তরুণীরা এরকম সংস্থাগুলোতে নিজেদের যুক্ত করবে।
ক্যাডেট জীবনের শুরু থেকে সকলদিকেই পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছেন মেঘলা। অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন ক্যাম্পে এবং সঙ্গী করেছেন বেশকিছু দলীয় ও ব্যক্তিগত অর্জন। হয়েছেন ক্যাম্পের সেরা নৃত্যশিল্পী। বিজয়ী হয়েছেন বিতর্ক প্রতিযোগীতায় ও অর্জন করেছেন সেরা বিতার্কিকের খেতাব। খেলাধুলার জগতেও স্বাক্ষর রেখেছেন কৃতিত্বের।