ঢাকায় ফ্রিল্যান্সারদের মিলনমেলা
- ফ্রিল্যান্সার্স ডেস্ক
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করছেন অনেক তরুণ ফ্রিল্যান্সার। ঢাকার মহাখালী ব্র্যাক ইন সেন্টারে শুক্রবার তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের মিলনমেলা। বৃহত্তর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সফল ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ‘সাকসেসফুল ট্রেইনি মিট আপ’ শীর্ষক এ কর্মশালায় ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।
রাজবাড়ি থেকে আসা শিক্ষার্থী মোস্তফা চৌধুরী বলেন, তিনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ শুরু করেছেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও গুগল অ্যান্ডসেন্স নিয়ে কাজ শিখেছেন তিনি। ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পেরেছেন তিনি। দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আরও বেশি আয় করতে চান তিনি।
মাদারীপুরে শামসুর নাহার বলেন, ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের প্রকল্প পরিচালক পরিচালক মির্জা আলী আশরাফ, ডিজিকনের প্রধান নির্বাহী ওয়াহিদ শরিফ বেইজ টেকনলজিসের সিওও রিয়াজ ইসলাম ও এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস এম আশ্রাফ আবির প্রমুখ।
সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, স্বাধীনভাবে উপার্জন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো একটি মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ ফ্রিল্যান্সারদের পাশে থাকবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
মির্জা আলী আশরাফ বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন হল ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রয়োজন। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার জনকে তথ্যপ্রযুক্তি, ফিউচার লিডার ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে এ প্রকল্প শুরু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের ভাষ্য, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।