ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে

মো: সাইফ : মুক্তপেশাকে ইংরেজীতে বলা হয় “ফ্রিল্যান্সিং” ! খুবই জনপ্রিয় একটি শব্দ বর্তমানে এবং তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে পেশা হিসেবে। উর্ধতন কারো আদেশ মেনে চলার চাপ নেই, নটা পাঁচটা গতানুগতিক সময়সূচী মেনে চলতে হয় না, কোট-টাই পরে অফিস করতে হয় না এবং নিজের ইচ্ছা ও স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ থাকায় অনেক তরুন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিং-এ। শুধু একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সারাবিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে বসেই করা যাবে ফ্রিল্যান্সিং!


ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে যা যা করনীয় :

১. কাজের দক্ষতা

চাইলেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারবেন না, এর জন্য আপনাকে জানতে হবে কাজ। অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। যে বিষয়টা আপনি ভালো পারেন সেটা দিয়েই শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং। সেটা হতে পারে ওয়েভডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও ইত্যাদি!

২.হতে হবে সহনশীল

প্রাথমিক অবস্থায় কাজ জানার পরও হয়ত আশানুরুপ কাজ নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে কাজ পাওয়ার জন্য। হতাশ না হয়ে চেস্টা কর যেতে থাকলে এক সময় কাজের অভাব হবে না।

৩. আপডেট থাকতে হবে

কাজ জানলেই হবে না, কাজের বিষয়ে প্রতিনিয়ত নতুন তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারনা নিয়ে রাখতে হবে। নিজেকে আপডেট রাখতে পারলে সেটি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে সফল করে তুলতে সহায়ক হবে।

৪. লোভের বসে নয়, নতুন কিছু শিখতে আসুন

অনেকেই ভাবেন ফ্রিল্যান্সিং এ লক্ষ লক্ষ টাকা কামানো যায় পরিশ্রম ছাড়াই। সত্যি বলতে শুধু টাকা কামানোর লক্ষ্য নিয়ে আসলে এ সেক্টরে আপনার না আসাই উচিৎ। কারন এখনকার দিনে প্রতিযোগিতামুলক মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে এবং সাফল্য পেতে হলে আপনাকে পরিশ্রমী হওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

৫. ইংরেজিতে থাকতে হবে স্বতস্ফুর্ততা

অনলাইনে ভিনদেশি ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে যেহেতু কাজ করতে হবে, তাই আপনাকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ইংরেজি। তাই ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়িয়ে নিয়ে নিজেকে করে তুলতে হবে মার্কেটপ্লেসের আদর্শ ফ্রিল্যান্সার !

Sharing is caring!

Leave a Comment