চাকরির বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে পাশ করার পর চাকরির জন্য দীর্ঘ সময় ঘুরে বেড়ানো নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত সে বিষয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে এর সংখ্যা যে একেবারে কম নয় সেটি দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের সময়। হোক তা সরকারি কিংবা বেসরকারি।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেছেন খোদেজা আক্তার টুম্পা। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করেও এখনও কোন সাড়া মেলেনি তাঁর। তিনি বলেন, ‘সবাই শুধু অভিজ্ঞতা চায়। আমি যদি চাকরি না পাই তাহলে অভিজ্ঞতা হবে কি করে?’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক মাহমুদ হোসেন চাকরির বাজারে অনেক বেশি প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়া পেয়েছি। কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় ‘খুবই কম’ বেতন হওয়ায় যোগদান করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক পাশ করে যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেকেরই কর্মজীবন নিয়ে খুব একটা পরিকল্পনা নেই। কী চাকরি করবেন কিংবা কোন পেশায় যাবেন তার সুষ্পষ্ট কোন চিত্র অনেকের সামনে নেই। চাকরি-প্রার্থীরা বলছিলেন বাস্তবতাই এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মো: বেলাল হোসেন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র। তিনি মনে করেন বর্তমানে চাকরি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হলেও সেটির মাধ্যমে খুব কম নিয়োগ হয়। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোক ছাড়া চাকরি হয়না। আমার পরিচিত অনেকে ভালো রেজাল্ট করে বসে আছে আবার অনেকে দুর্বল ফলাফল করেও ভালো চাকরি পেয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন ছাত্র ডালিম হোসেন বলেন, ‘যতই লবিং থাকুক না কেন, যারা মেধাবী তাদের ঠেকিয়ে রাখা যায় না। তারা ভালো চাকুরি পাবেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শান্তি ও সংঘর্ষ‘ বিভাগে পড়ছেন শামিন হোসেন। চাকরির বাজারের অবস্থা নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পড়াশুনার বিষয়ের সাথে মিলিয়ে চাকুরি পাওযা খুব কঠিন। তবে আমি বিসিএস ক্যাডার হতে চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ফারুক চাকরিকে সোনার হরিণের সাথে তুলনা করলেন। তবে তিনি মনে করেন চাকুরির বাজারে মেধাবীদের ভালো সুযোগ অবশ্যই আছে। কিন্তু তিনি বলেন, ‘তবে মামা না থাকলে চাকরি হয়না এটাও সত্যি কথা।’