কেমন হবে ‘পরিবারবান্ধব’ প্রতিষ্ঠান ?

কেমন হবে ‘পরিবারবান্ধব’ প্রতিষ্ঠান ?

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

ধরুন, অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। ঠিক তখনই বাচ্চার স্কুল থেকে ফোন করে জানানো হলো সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন কী করবেন? এমন অনেক পরিস্থিতি মানুষের সামনে চলে আসে, যখন পেশা আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য ঠিক রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আধুনিক কর্মক্ষেত্রে এমন সমস্যা দিন দিন বাড়ছেই। অবশ্য এসব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন‘পরিবারবান্ধব নীতিমালা’ প্রণয়নের চেষ্টা করছে। এ ধরনের নীতিমালা কেমন হতে পারে, তা নিয়ে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কথা বলেছেন এর ইতিবাচক দিক নিয়েও—


ফ্লেক্সটাইম
ফ্লেক্সটাইম বলতে সাধারণত এমন একটা ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে একজন কর্মী তাঁর পছন্দমতো কর্মঘণ্টা বেছে নিতে পারবেন। কর্মজীবী মা-বাবার জন্য এই ব্যবস্থা দারুণ সহায়ক হতে পারে। এতে যেমন কর্মী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবারকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে পারবেন, তেমনি অফিসের কাজে আরো বেশি উৎপাদনশীল হয়ে উঠবেন।

পেইড ফ্যামিলি লিভ
পরিবারের সঙ্গে সময় দেওয়া সব মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে। আর তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানও কিছু ব্যবস্থা রাখতে পারে। বিশেষ করে‘পেইড ফ্যামিলি লিভ’ দারুণ এক নীতি হতে পারে। মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকালীন, প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য কিংবা বৃদ্ধ মা-বাবাকে সময় দেওয়ার জন্য এ ধরনের ছুটির ব্যবস্থা থাকা উচিত, যেখানে বেতন কাটা হবে না।

চাইল্ড কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট
বিভিন্নভাবে বিষয়টি নীতিমালায় আসতে পারে। প্রতিষ্ঠানেরই একটি অংশ গড়ে তোলা যেতে পারে, যেখানে কর্মীদের বাচ্চাদের দেখাশোনা করা হবে। কিংবা কর্মীদের সন্তানদের দেখাশোনার ব্যবস্থা না থাকলে, এ জন্য তাঁদের মাঝেমধ্যে ছুটি দেওয়া যেতে পারে। এমনকি প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে কিছু চার্জও নেওয়া যেতে পারে।

নতুন মায়েদের জন্য
নতুন মায়েদের শিশু লালন-পালন বা বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম শেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা হয়। কর্মজীবী মায়েদের জন্য এটা দারুণ এক নীতিমালা হয়ে উঠতে পারে। আলাদা একটি কক্ষে বিশেষজ্ঞরা এসে শিশুকে বুকের দুধ পান বা ব্রেস্ট পাম্পের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে
প্রতিষ্ঠানকে পরিবার হিসেবে গড়ে তুললে সেই প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মীরা সমাজের সঙ্গে আরো দৃঢ়ভাবে যুক্ত হতে পারেন। প্রতিষ্ঠানে এমন আয়োজন থাকা উচিত, যেন প্রতি ছয় মাস অন্তর কর্মীদের সবাই পরিবার নিয়ে কোনো আয়োজনে অংশ নিতে পারেন। এমন সংস্কৃতি অবশ্য অনেক প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে।

সূত্র: বিজনেস নিউজ ডেইলিfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment