উদ্যোগী তারুণ্যকে দিক নির্দেশনা দিতে…
- সৈয়দ মারুফ রেজা
আমাদের দেশে এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে আর অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরাই ব্যবসা করবে। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত এমন ধারণা শক্তিশালী ছিলো যে তুমি যদি ব্যবসাই করবে তবে এতো কষ্ট করে লেখাপড়ার দরকার কি ছিলো। তবে সময় বদলেছে, তার সাথে সাথে পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষের মনোভাবও বদলাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ অনেক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্বা্য়ন প্রক্রিয়া আমাদের তরুণদের চোখে নতুন দিনের স্বপ্ন এঁকে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে সরকারী-বেসরকারী চাকরির সনাতন পথে না গিয়ে নিজে কিছু একটা করতে এখনকার তরুণদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
নিজেদের ভবিষ্যত গড়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখার তাগিদ থেকে তরুণেরা নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগের সাথে নিজেদের যুক্ত করছে। তাদের সেই বহুমূখী উদ্যোগকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবার তাগিদ থেকেই ২০১৫ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব অন্টারপ্রিনিউরশীপ যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিভাগ শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষাসুবিধা প্রদাণের লক্ষ্য থেকে ইউএসএ’র কফম্যান ফাউন্ডেশন, ফোর্ট হায়েস স্টেট ইউনিভার্সিটি, সিরডাপ, জাপানের জেট্রো, ভারতের আইএমএসএমই ইন্ডিয়া, নেপালের গ্লোকাল লিমিটেডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেদের যুক্ত করেছে।
পাশাপাশি আইএলও’র এসআইওয়াইবি কর্মসূচী, চাইল্ড এ্যান্ড ইয়ুথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনালের গ্লোবাল মানি উইক, কফম্যান ফাউন্ডেশনের গেট ইন দ্য রিং ও গ্লোবাল ইয়াং অন্টারপ্রিনিউরশীপ সামিট, এবং মালয়েশিয়ার পারলিস ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল অন্টারপ্রিনিউরশীপ সামার ক্যাম্পসহ দেশি-বিদেশী বিভিন্ন আয়োজনের সাথে নিজেদের যুক্ত করেছে।
আমরা জানি শুধু বই পড়ে কেউ কখনও উদ্যোক্তা হতে পারে না। তাই বই পড়ার সাথে সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্য থেকে নিয়মিত স্টার্টআপ মার্কেটও স্টার্টআপ এক্সপো আয়োজন, শিল্প-কারখানা পরিদর্শন, নিজস্ব ইনকিউবেশন সেন্টারের সহায়তায়সৃজনশীল ব্যবসায়ী ধারণা উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।