বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা : জানা চাই সঠিক তথ্য
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। স্বপ্ন থাকে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। বিশ্বায়নের এ যুগে একজন শিক্ষার্থীর নিজেকে যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই এখন অনেক শিক্ষার্থীরই লক্ষ্য থাকে এইচএসসি অথবা স্নাতক শেষ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ইউরোপের কোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণে যুক্তরাজ্য হলো ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। শিক্ষার্থীদের তাই পছন্দের তালিকায়ও থাকে যুক্তরাজ্য। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশালী এ দেশটি গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে অনন্য। কিন্তু এ দেশের শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রথম যে সমস্যাটির কথা চিন্তা করে তা হলো অর্থনৈতিক সমস্যা। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও দেশের অনেক শিক্ষার্থী সঠিক তথ্যের অভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। ফলে স্বপ্ন পূরণে বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু ইউরোপের এ দেশটিতে বেশ কিছু বৃত্তিমূলক ব্যবস্থা চালু আছে, যা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্বল্প খরচে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল আন্তর্জাতিক মানের এসব বৃত্তি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালনা করে আসছে।
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ফেলোশিপ প্ল্যান : কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অ্যান্ড ফেলোশিপ প্ল্যান ১৯৫৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ বৃত্তি কমিশন দ্বারা পরিচালিত। এ প্রকল্পের আওতায় কমনওয়েলথভুক্ত একটি দেশ থেকে অন্য দেশে পড়াশোনা করতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হয়।
যা প্রদান করে : কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অ্যান্ড ফেলোশিপ প্ল্যান একজন শিক্ষার্থীকে বিমান ভাড়া, ভিসা প্রসেসিং ফি, টিউশন ফি, গবেষণার সময় রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য ভাতা প্রদান করে।
পড়াশোনার ক্ষেত্র :এ প্রকল্পের আওতায় একজন শিক্ষার্থীকে এক বছরের মাস্টার্স কোস পড়ানো, পিএইচডি, ছয় মাস কোর্সসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদান করে।
বৃত্তি গ্রহণের যোগ্যতা :প্রার্থীদের অবশ্যই একজন বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীকে আইএলটিএস ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে।
চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্ট : ১৯৮১ সালে চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি যুক্তরাজ্যের নিবন্ধিত চ্যারিটি। ট্রাস্টটি মূলত ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে সহযোগিতা করে।
যোগ্যতা : অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স ২৫-৪৫ বছর (পেশাদার কর্মজীবন)। পেশাগত উন্নয়নের জন্য যুক্তরাজ্যের যে সংস্থা বা আয়োজনকারী তাদের পক্ষ থেকে নমিনেশন পেপার থাকতে হবে।
বৃত্তি প্রদান : নির্বাচিত প্রার্থী প্রতি মাসে এক হাজার ৩০০ ইউরো এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ৮০০ ইউরো পাবে।