যে শিক্ষা কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
সময় এখন প্রযুক্তির। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। প্রযুক্তির বিশ্ববাস্তবতায় তাই অনেকেই আইটি শিক্ষায় উৎসাহিত হচ্ছেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে নিত্যনতুন বিষয় যোগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষার্থীদের সামনে পেশাজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। তরুণরা খুঁজে পাচ্ছেন নতুন দিকনির্দেশনা। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তি এখন সবচেয়ে যুগোপযোগী। প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন হচ্ছে বিদেশে-বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানীসহ নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন। তবে স্বপ্ন পূরণের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিপুল খরচ যা আমাদের দেশের তুলনায় প্রায় দশগুণ। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সকলের পক্ষে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা সম্ভব হয় না। একদিকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা অন্যদিকে আর্থিক অস্বচ্ছলতা-এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের লক্ষ্যে একটি সহজ সুযোগ সৃষ্টি করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি (ডিআইএ)।
শিক্ষা পদ্ধতি: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির শিক্ষা ব্যবস্থায় বৃটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ফাইনাল পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র পরীক্ষিত হয় যুক্তরাজ্যে। এর যাবতীয় ক্লাশ অনুষ্ঠিত হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিতে।
সার্টিফিকেট: এ শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিএসসি অনার্স ইন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
ক্রেডিট ট্রান্সফার: যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের সহস্রাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ডিআইএ থেকে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্রেডিট ট্রান্সফার করে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানী, অষ্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন এবং অনেকেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন।
মান নিয়ন্ত্রণ: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, সেরা ফলাফল ও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তরাজ্যের এনসিসি এডুকেশন কর্তৃক বেস্ট পার্টনার ও একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে যা দেশের জন্য একটি বিরল সম্মান। পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রের জন্য রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিচ ও এনসিসি এডুকেশন, ইউকে।
ভর্তির যোগ্যতা: যে কোনো গ্রুপ থেকে এইচএসসি/এ লেভেল অথবা সমমান পাশ। তাছাড়াও ৪ বছর মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারীরা দুই বছরে বিএসসি (অনার্স) ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
খরচ: যুক্তরাজ্যে একই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে যেখানে ৮০-৯০ লাখ টাকা খরচ হয়, সেখানে বাংলাদেশে একই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে মাত্র ৮ লাখ টাকা খরচ হয়, যা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।
চাকরি সুবিধা: পাশকৃত গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের হার শতভাগ। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থীও বেকার নেই। তাছাড়া ডিআইএ’র শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল গ্রুপের ২৫ টি প্রতিষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী, বেসরকারী ও মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ডিআইএ’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করার বিশেষ সুযোগের পাশাপাশি শিক্ষাকালীন অবস্থায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন। উল্লেখ্য, ডিআইএ থেকে পাশ করা বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন, যা দেশের আর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে।
ক্যাম্পাস সুবিধা: ডিআইএতে রয়েছে কয়েক হাজার বই সম্বলিত আধুনিক লাইব্রেরি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে ওয়াইফাই ক্যাম্পাস জোন ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে শতাধিক কম্পিউটার সম্বলিত আধুনিক ল্যাব।
স্কলারশিপ সুবিধা: মেধাবী ও অসচ্ছলদের জন্য রয়েছে ১০%-১০০% পর্যন্ত ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্কলারশিপের সুবিধা। মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল শিক্ষকের সন্তান ও মেয়েদের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপের সুবিধা।
ভর্তির সেশন: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিতে বছরে ৪ টি সেশনে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর) চাকরিজীবীরা সান্ধ্যকালীন শিফটে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
বিস্তারিত: ডিআইএ; ড্যাফোডিল কনকর্ড রিজেন্সি, ১৯/১, পান্থপথ, ঢাকা। ফোন: ৯১৩৮১৩৯, ০১৭১৩৪৯৩১৬৩। www.daffodil.ac