ক্যারিয়ার বিধ্বংসী যত অভ্যাস

ক্যারিয়ার বিধ্বংসী যত অভ্যাস

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

চাকরি পাওয়ার পর মনে হয়, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম সব চিন্তা শেষ সত্যিই কি তাই? ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে ভুলেও এমনটা ভাববেন না আপনাকে সব সময়, সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে আর কিছু অভ্যাস তো অবশ্যই বদলে ফেলতে হবে, যা আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট

স্কুপহুপ ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তালিকায় বলা হয়েছে কী কী অভ্যাস আপনার ক্যারিয়ারকে ধসিয়ে দিতে পারে


. অফিসের সবকিছুতেই হ্যাঁ বলাটা কি ভালো, না খারাপ? উত্তর হলো, খারাপ। সবকিছুতেই রাজি হয়ে যাওয়াটা আপনার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেবে। এটা ঠিক যে, হ্যাঁ বলার জন্য আপনার বস সহকর্মীরা আপনার ওপর অনেক খুশি হবেন, তবুও যদি ক্যারিয়ার বাঁচাতে চান, তাহলেনাবলেতে শিখুন

. অফিসের মেইলগুলো অযথা বড় করে লিখতে যাবেন না। এই মেইলগুলো ছোট করে লিখতে শিখুন। আর সহকর্মীদের পাঠানো মেইলে কখনোই স্মাইলি বা অপ্রয়োজনীয় কথা লিখবেন না

. আপনি হয়তো অনেক দক্ষ একজন কর্মী, কিন্তু কখনোই নিজের টিমকে অবহেলা বা উপহাস করবেন না। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ক্ষতিকর। যদি নিজের ক্যারিয়ারে ভালো করতে চান, তাহলে সহকর্মীকে গুরুত্ব দিতে শিখুন

. সাদামাটাভাবে চাকরি করতে থাকলে একসময় আপনার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়তো আপনার চাকরি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু তাই বলে যেমন ইচ্ছা, তেমন করা যাবে না

. অফিসে নিজের ইগো ধরে রাখলে ভবিষ্যতে আপনারই ক্ষতি হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো

. সব সময় শেষ মুহূর্তে কাজ শেষ করা ভালো অভ্যাস নয়। একবার বা দুবার হতে পারে, কিন্তু সব সময় যদি আপনি এমনটা করতে থাকেন, তাহলে বস আপনার ওপর খুবই বিরক্ত হবেন

. আপনি কাজের বিষয়ে সিরিয়াস না বলে অন্যরাও আপনার মতো হবে, এমনটা ভাববেন না। কোনোভাবেই সহকর্মীদের কাজে সমস্যা করা যাবে না। এর ফলে সহকর্মীরা আপনার কাছে থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করবে

. অফিসে বসে হেডফোনে জোরে গান শোনা খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে পাশের সহকর্মীরা বিরক্ত হবে। আর আপনার এই আচরণ অন্য কর্মীর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে

. অফিসে বসে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে বেশি সময় নষ্ট করলে আপনারই ক্ষতি। এতে সব সময় আপনার মনোযোগ কাজের থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই বেশি থাকবে। আর সারাক্ষণ চ্যাট করলে আপনার সহকর্মীরা সেই কথা বসের কানে তুলতে পারে। তাই সাবধান

১০. কোনো এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে অন্য সহকর্মীদের কাছে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনকি সহকর্মীদের কথা বসের সঙ্গে বলাও ঠিক নয়। এতে সাময়িক বাহবা পেলেও ভবিষ্যতে আপনি বিপদে পড়বেন

১১. সহকর্মী কিংবা বসের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে অফিসে সবার কথা মন দিয়ে শুনুন। কখনোই বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না

১২. অফিসে পরিপাটি পোশাক পরে আসতে হবে। পোশাকে ফিট না থাকলে কাজেও মন বসবে না। আর নিজেকে সুন্দর লাগলে কর্মক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই সাধারণভাবে না এসে গুছিয়ে পরিপাটি পোশাক পরে অফিসে আসুন

১৩. সহকর্মী বা বসের সঙ্গে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না, যা আপনি রক্ষা করতে পারবেন না। আর যদি প্রতিশ্রুতি আপনাকে দিতেই হয়, তাহলে সেটা রক্ষা করার চেষ্টা করুন

১৪. আপনার যদি চাকরিটি ভালো নাই লাগে, তাহলে ছেড়ে দিন। চাকরিও ছাড়বেন না, আবার সহকর্মীদের সঙ্গে অফিসের বদনাম করবেন, এটা আপনার ক্যারিয়ারের ওপর অনেক বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে

১৫. ফোনের রিংটোন সব সময় অন করে রাখার অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। এতে অন্য সহকর্মীদের কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়। আট ঘণ্টা তো আর ফোন বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই মোবাইল ফোনটিকে নীরব বা শব্দ কমিয়ে রাখুন

সূত্র: স্কুপহুপ ডটকমfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment