৩৫তম বিসিএস : আরও ১৬০ জনকে প্রথম শ্রেণিতে নিয়োগের সুপারিশ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আরও ১৬০ জনকে প্রথম শ্রেণির নন ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। আজ রোববার বিকেলে এ সুপারিশ করা হয় বলে প্রথম আলোকে জানান পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।
গত ১৭ এপ্রিল প্রথম দফায় আরও ৩৯৮ জনকে প্রথম শ্রেণির নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে মোট ৫৫৮ জনকে প্রথম শ্রেণির নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হলো।
আজ সুপারিশ করা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাব–রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এই সংখ্যা ৪২ জন। এ ছাড়া ২১ জন সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা, ১৯ জনকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বাকিদের জনপ্রশাসন, তথ্যসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
গত বছরের ১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৫ হাজার ৫৩৩ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও পদস্বল্পতার কারণে ৩ হাজার ৩৫৯ জনকে নন ক্যাডারের জন্য রাখা হয়। গত বছরের নভেম্বরে তাদের নন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া হয়। ২ হাজার ৬২৬ জন এতে আবেদন করেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৩৫তম বিসিএসের নন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ৩০ আগস্ট সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় পিএসসি। এ ছাড়া বেশিসংখ্যক প্রার্থী যেন নিয়োগ পায় সে জন্য কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেখানে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। পরে সেটি মন্ত্রিপরিষদে গেলে কোটা শিথিলের সুপারিশ করা হয়।
২০১০ সাল থেকে বিসিএসের মাধ্যমে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ জন্য ওই বছরের ১০ মে নন ক্যাডার বিধিমালা, ২০১০ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, শূন্য পদের ৫০ শতাংশ বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। ২০১৪ সালে এই বিধি সংশোধন করে প্রথম শ্রেণির নন ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে পরবর্তী বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত আগের বিসিএস থেকে নন ক্যাডারে নিয়োগ চলে। এই নিয়মে ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ চলবে।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পর ৩০ আগস্টই আমরা সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শূন্য পদের তালিকা চেয়েছি। বিসিএস উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে বেশি করে যেন চাকরি পায় সে জন্য আমরা মন্ত্রণালয়গুলোকে বারবার তাগাদা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত মোট ৫৫৮ জনকে প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হলো। প্রথম শ্রেণির আরও ১১২টি পদের চাহিদা আছে আমাদের কাছে। আরও যদি কোনো চাহিদা আসে ৩১ মে পর্যন্ত আমরা দেখব। এরপর আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করব।’