ফার্মেসী শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ
- মোঃ সাইফুল ইসলাম খান
স্বাস্থ্য সেবা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির পর স্বল্প সময়ে আমাদের দেশে ওষুধ শিল্পের যে বিকাশ ঘটেছে তার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ৭২টিরও অধিক দেশে রপ্তানী করেছে যা অত্যান্ত গৌরবের দাবিদার। দেশের অর্থনীতিতে যে কয়টি বিকাশমান খাত রয়েছে ওষুধ শিল্প তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের এ ওষুধ শিল্পে বর্তমানে রয়েছে ২৩০টি উৎপাদন কারখানা। এসব কারখানায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওষুধ যেমন উৎপদিত হচ্ছে তেমনি বাজার হিসাবে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ। উৎপাদন যেমন বাড়ছে তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে বাজার। ২০০৪ সালে যেখানে ৩৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হত সেখানে ২০১৫ সালে রপ্তানি হচ্ছে ৬০ টি দেশে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এখন ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে হাত দিয়েছে। ওষুধ শিল্প এবং এ শিল্পে কাঁচামালের বিনিয়োগ ছাড়াও বাংলাদেশ এখন বায়ো-ইকুইভ্যালেন্স স্টাডি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস, ভ্যালিডেশন রিপোর্ট ও ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট এর নকশা তৈরি ও স্থাপনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের সামনে এখন বিশ্বের ৬০০ বিলিয়ন ডলরের ওষুধ বাজারে ওষুধ রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ দেশের মানুষের, এ সুযোগ মেধাবী ফার্মাসিষ্টের, কেননা ভাল ফার্মাসিষ্ট ছাড়া গুনগত মানের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মাসী বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশে ফার্মেসী শিক্ষার সুযোগ হয়। ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৬, এত বছরের ব্যাপ্তিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের বেশ কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী শিক্ষা চালু করা হয়েছে।
ক্যারিয়ারের সুযোগ
ফার্মেসী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফার্মেসী শিক্ষা একটি পেশাদার শিক্ষাব্যবস্থা, ফার্মেসী বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনকারী এবং ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে নিবন্ধিত ওষুধ বিজ্ঞানীকে ফার্মাসিষ্ট বলা হয়। ফার্মাসিষ্টরা ওষুধ কোম্পানীতে ওষুধ উৎপাদন, গুনগতমান বিচার, বিপণণ প্রভৃতিতে দক্ষতার সাথে কাজ করে। তারা কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিতে সিনথেটিক কেমিষ্ট, এপিআই প্ল্যান্টে কাঁচামাল উৎপাদনে কাজ করে। বিভিন্ন হাসপাতালে হসপিটাল ফার্মাসিষ্ট এবং কমিউনিটিতে কমিউনিটি ফার্মাসিষ্ট হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সরকারী চাকুরি এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য খুব সহজে দেশের বাইরে চলে যেতে পারে।
পড়তে হলে যা যা লাগবে
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচ. এস, সি পাশ করে যে কেউ ফার্মেসীতে পড়তে পারবে, তবে তাকে স্ব স্ব ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় শর্ত পুরণ করে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। স্বভাবিকভাবে শিক্ষার্থীকে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে।
ফার্মেসী বিভাগ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ফার্মাসিষ্টরা মানুষের রোগমুক্তির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। একজন ফার্মাসিষ্টের ভুলে কিংবা নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপননের জন্য বিপন্ন হতে পারে অসংখ্য মানুষের জীবন। ফার্মাসিষ্টদের তাই তত্ত্বীয় বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার সাথে সাথে ব্যবহারিক দিকে দক্ষতা অর্জন সহ উন্নত নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন হতে হবে। আর এ ব্যপারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি খুবই সচেতন, কেননা ফার্মেসী বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেনীকক্ষ, গবেষনাগার, রাসায়নিক বিকারক, অধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা সেমিষ্টারের শুরুতেই তত্ত্বীয় ক্লাশের সাথে সাথে ব্যবহারিক ক্লাশে নিয়মিত অংশ নেয়। ফার্মেসী বিভাগে নিয়মিত ক্লাশের পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। শুধুই কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের উন্নত মননশীলতার জন্য কিংবা নৈতিকতা বোধের উৎকর্ষ সাধনের জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলুষমুক্ত উন্নত পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় ও তা বজায় রাখতে সচেষ্ট এবং ফার্মেসী বিভাগ মেধাবী, দক্ষ ও উন্নত ফার্মাসিষ্ট তৈরিতে সংকল্পবদ্ধ। আর এ অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে যা যা প্রয়োজন তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূরণে নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। তাই পরিশেষে বলা যায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগ থেকে পাশকৃত ফার্মেসী গ্রাজুয়েটরা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রখবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মেসীতে প্রতি বছর দুটি সেমিষ্টারে (স্প্রিং ও ফল) ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তির যাবতীয় তথ্য পেতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ১০২, শুক্রাবাদ, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৭ এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনীয় টেলিফোন নাম্বার সমূহঃ ৯১৩৮২৩৪-৫, ৯১১৬৭৭৪, ৮১৩০৮৬৪, মোবাইলঃ ০১৭১৩৪৯৩০৫০-১, ০১৮১১৪৫৮৮৭৮ ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৯১৩১৯৪৭। ই-মেইল : info@daffodilvarsity.edu.bd , ওয়েব সাইট : www.daffodilvarsity.edu.bd ।
লেখক : জনসংযোগ কর্মকর্তা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ।