এসএসসি শেষ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু

এসএসসি শেষ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু

  • এস এম রাসেল

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতা, জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সব দেশের শিক্ষা ও দক্ষতা উচ্চমানের সেই সব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অনেক বেশি কার্যকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য প্রথমে দরকার উচ্চমানের দক্ষ জনশক্তি। সেই ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। এসএসসি’র পর একজন শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স তথা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

কেন কারিগরি শিক্ষার চাহিদা বেশি

কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর শিক্ষার্থীকে আর চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সে নিজেই অর্জিত শিক্ষার সাথে মিল রেখে স্বাধীনভাবে পেশা খুঁজে নিতে পারে। সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে সেটা সহজলভ্য নয়। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা দিতে পারে নিরাপদ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। কারিগরি শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে বা ব্যক্তিকে দক্ষ করে তোলে। দক্ষতাই উন্নয়নের চাবিকাঠি।

কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও বৃত্তি সুবিধা

কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়ে থাকে বেসরকারি খাত, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও অনেকগুলো সরকারি মন্ত্রণালয়। সেই সাথে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ট্রেনিং এন্ড স্কিলস এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় একজন শিক্ষার্থী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাসে ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি পেতে পারে। বৃত্তির টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীর নিজ একাউন্টে জমা হয়। ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) চট্টগ্রাম বিশ্বব্যাংকের একটি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তির আওতাভুক্ত। বর্তমান ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সকল শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে। প্রতি ছয় মাস পর পর বৃত্তির টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হয়। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা পাশের সফলতা। ৭৫% এর উপরে ক্লাসের উপস্থিতি এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় সব বিষয়ে পাশ করলে নিয়মিত বৃত্তির টাকা পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০০৬-২০০৭ সেশন থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করে আসছে ডিআইআইটি। তাদের মধ্যে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, সিভিল এবং আর্কিটেকচার প্রোগ্রামগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ইতিমধ্যেই চাকরি ক্ষেত্রে আশাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর চাকরির পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন ব্যাচে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্বল্পতম সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ লাভ করতে পারেন। এসএসসি-তে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ সহ গণিতে জিপিএ ২ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ ও ভর্তির যোগ্যতা

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ৪ বছর মেয়াদী ৮ সেমিস্টারে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি ৬ মাসের সেমিস্টার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কতৃক ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সনদপত্র লাভ করেন।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি (বিজ্ঞান/ মানবিক/ ব্যবসায় শিক্ষা/ ভোকেশনাল/ ভোকেশনাল-টেক্সটাইল) পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ পেয়ে পাশ করতে হবে। এইচএসসি উত্তীর্ণ/অনুত্তীর্ণ বা পরীক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অফিস চলাকালীন সময়ে ভর্তির আবেদনপত্র, তথ্যবিবরণী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিআইআইটি হতে সংগ্রহ করতে হবে। ভর্তির আবেদনপত্র বোর্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র/ ট্রান্সক্রিপ্ট, ৮ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে হবে।

যোগাযোগ

ঢাকা ক্যাম্পাস : +৮৮ ০২ ৯১৩৮১৩৯, ০১৭১৩৪৯৩, ১৯/১, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫,ইমেইল : einfo@diit.info

চট্টগ্রাম ক্যাম্পাস : বাড়ি- ৩০৮/৪৬৩, বেপারী পাড়া মোড়, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, চট্টগ্রাম। ফোন: ০৩১-২৫১৫৩৮০-৮১, ০১৭১৩৪৯৩২৫৭।

favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment