ক্যারিয়ায়ের ৬ পরামর্শ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ক্যারিয়ার গড়া সম্পর্কে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কমবেশি সবার মনেই কাজ করে। সেই উদ্বেগ খানিকটা কমিয়ে আনতে চলুন জানা যাক যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ-
জুড মিলার বার্ক
‘আমার পাওয়া সেরা ক্যারিয়ার সংক্রান্ত পরামর্শ হলো অধ্যবসায়ী ও থিতু হতে শেখা এবং ব্যর্থতার ঘূর্ণিপাকে নিজের ক্যারিয়ারকে পথভ্রষ্ট হতে না দেওয়া। যে কোনো সফল মানুষই নিজের ক্যারিয়ারে অবিরাম ব্যর্থতা ও ঘূর্ণিপাকের ভেতর দিয়ে যায়; কিন্তু সে সবের কাছে পরাজয় মেনে নেয় না কখনও। আসলে সফল মানুষের কাছে ব্যর্থতা চিহ্নিত হয় সাফল্যেরই একটি অংশ হিসেবে; আর ঘূর্ণিপাককে তারা নিজের ক্যারিয়ারকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবেই বিবেচনা করে।’
-লেখক : ‘দ্য মিলিয়নেয়ার মিস্টিক : হাউ ওয়ার্কিং উইমেন বিকাম ওয়েলথি- অ্যান্ড হাউ ইউ ক্যান টু!’
বব লাবোমবার্ড
‘ক্যারিয়ার বাছাই করতে গিয়ে নিজের সহকর্মী, পূর্ববর্তী চাকরি কিংবা টাকাকে প্রাধান্য দেবেন না। বরং নিজের দক্ষতার প্রতি মনোযোগী হোন। ভেবে নিন, কোন বিষয়টির প্রতি আপনার আগ্রহ ভীষণ এবং সেটিকে কীভাবে ইতিবাচক রূপে ব্যবহার করতে পারবেন।’
-সিইও, গ্র্যান্ডস্টাফ
ডেব্রা লিবিয়ার
‘একজন প্রাণবন্ত কর্মজীবী হিসেবে যার সঙ্গেই দেখা হোক না কেন, তার প্রতি মনোযোগী হোন। যে কোনো কাজ করে যেতে থাকুন হাসিমুখে আর রাখুন সম্ভাবনার সব দ্বার খোলা। কেননা চলতি পথে পাওয়া কোনো সুযোগকে হেলায় নষ্ট করলে এর ফল কী হবে- তা তো জানেন না আপনি।’
-ডিরেক্টর অব ক্যারিয়ার অ্যান্ড অ্যাডভাইজিং সার্ভিসেস, লুইস-ক্লার্ক স্টেট কলেজ, ইডাহো
বেথ রিকা
‘সেরা ক্যারিয়ার অ্যাডভাইসটা আমি পেয়েছিলাম বছর ত্রিশ আগে, নিজের প্রথম চাকরির বসের কাছ থেকে। তিনি বলেছিলেন, ‘মুখে না বলে কাজে দেখাও!’ বলি, নিজের কর্মক্ষেত্রে, নিজের সিভিতে কিংবা এমনকি ব্যক্তিজীবনেও কী করার ক্ষমতা আপনার আছে- সে সব নিয়ে অবান্তর কথা না বলে, সময় নষ্ট না করে বরং নিজের দক্ষতাকে সুনিপুণভাবে জাহির করুন। আপনার সিভিতে ‘এক্সিলেন্ট কমিউনিকেশন স্কিল’ এ ধরনের গড়-কথা সংযুক্ত না করে, বরং ঠিক কোন ক্ষেত্রটিতে এ দক্ষতা আপনার রয়েছে, সেটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণসহ উল্লেখ করুন। আর আপনার কাজকেই দিন আপনার হয়ে মুখ খুলতে!’
-ডিরেক্টর, দ্য ক্যাহিল ক্যারিয়ার ডিপার্টমেন্ট সেন্টার, র্যামাপো কলেজ অব নিউজার্সি
ক্যারেন মেরিক
‘নিজের যোগাযোগ-ক্ষমতাকে কাজে লাগান। কলেজের পাঠ শেষ করার পর আমার প্রথম ম্যানেজার আমাকে একটি কমিউনিকেশন সেমিনারে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে অভিজ্ঞতার নির্যাস নিয়ে ক্যারিয়ারের পথে পা বাড়িয়েছি আমি। আমার ক্যারিয়ারজুড়ে পর্যায়ক্রমে নিজের যোগাযোগ-ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ নানা কর্মশালা, অনলাইন কোর্স ও গ্রন্থ থেকে প্রতিমুহূর্তে লুফে নিতে ভুল করিনি। যোগাযোগ-ক্ষমতার ঘাটতি নানা সমস্যার উদ্রেক ঘটায়; আর সেগুলো সামলে নেওয়া যায় এ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে।’
-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, পকেট মেন্টর
লিহ গোল্ডসন
‘আমার মতে, সেরা পরামর্শ হলো- একজন পরামর্শক খুঁজে নেওয়া। জীবনে এমন মানুষের দেখা যদিও আমি কম পেয়েছি, তবে তাদের দেখানো পথে ও সহযোগিতায় ক্যারিয়ারের উন্নতি ঘটানো সহজ হয়েছিল আমার পক্ষে। কেননা দুঃসময়ে একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শকই আপনাকে দিতে পারে যথাযথ বুদ্ধি।’
-কো অর্ডিনেটর, অ্যালুমনি ক্যারিয়ার সার্ভিসেস, ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা