ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিস ফেলোশিপ’
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুরু করতে যাচ্ছে ‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিস ফেলোশিপ (টিএএফ)’ প্রোগ্রাম। এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে এক বছরব্যাপী চলবে এই ফোলোশিপ প্রোগাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন ও টিএএফ প্রোগ্রামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং এইচআরডিআই-এর উপ পরিচালক এজাজ-উর-রহমান।
অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয় যে, এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সিজিপিএ-৪ থাকতে হবে এবং স্নাতক পরীক্ষায় সিজিপিএ-৩.৫ অথবা ৭০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। এছাড়া আইইএলটিএস পরীক্ষায় যাদের স্কোর ৭.৫ বা তদুর্ধ্ব থাকবে এবং বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ থাকবে তারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।
‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিস ফেলোশিপ’ প্রোগ্রামের আবেদন শুরু হচ্ছে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ২৪ অক্টোবর ২০২০। ফেলোদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শুরু হবে ১ নভেম্বর এবং শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। এরপর চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ও নির্বাচিত ফেলোদের নিয়ে প্রোগ্রাম চলবে ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিচ ফেলোশিপ’ প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণরূপে নেতৃত্ব বিকশিত করার প্রোগ্রাম। এক বছর মেয়াদী এই ফেলোশিফ প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন তরুণ শিক্ষক তার পেশাগত বিকাশ এবং শ্রেণিকক্ষের নেতৃত্ব গুণ বিকশিত করতে পারবেন। প্রোগ্রামটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ, নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরি করা।
উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ সাধন করাই এই সময়ের প্রধান চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করতে পারেন একমাত্র প্রাজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকগণ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এখন উন্নতির শিখরে রয়েছে। গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ছাড়া এই অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাই মানসম্মত শিক্ষক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
আমাদের দেশে শিক্ষক নিয়োগ হয় সাধারণত পরীক্ষার সেরা ফলের উপর ভিত্তি করে। সেরা ফলের সঙ্গে যদি প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ যুক্ত করা যায় তাহলে তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্বনেতা।
এসব দিক বিবেচনা করেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষ, প্রাজ্ঞ, মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: