হতে পারেন কাস্টিং ডিরেক্টর
মিডিয়া বর্তমানে ক্যারিয়ারের অনেক বড় একটি ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ছাড়াও কাজের সুযোগ রয়েছে নাটক, চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থায়। নাটক, চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থায় আপনি চাইলেই কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে গড়ে নিতে পারেন একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার। কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে রিজভীর পেশাগত জীবন প্রায় তিন বছরের। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ফ্রিফল স্টুডিওস-এ কাস্টিং ডিরেক্টররের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন হাসনাত কাদীর।
প্রশ্ন: কাস্টিং ডিরেক্ট বলতে কী বোঝায়?
রিজভী: নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে কাস্টিং ডিরেক্ট হলেন সেই ব্যক্তি যিনি স্ক্রিপ্ট এবং পরিচালকের চাওয়া অনুযায়ী অভিনয় শিল্পী জোগানো, বাছাই এবং নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
প্রশ্ন: কাস্টিং ডিরেক্টর হতে কী ধরণের যোগ্যতা আবশ্যক?
রিজভী: একজন কাস্টিং ডিরেক্টরকে যেহেতু চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় শিল্পী নির্বাচন করতে হয় তাই মানব চরিত্র বিশ্লেষণ এবং অভিনয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয়। এছাড়া সাহিত্য এবং নাট্যজ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সেই সাথে দ্রুত ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন করতে জানলে ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নতি আসে। কাস্টিং ডিরেক্টরকে দায়িত্বশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। একাডেমিক লেখাপড়ার সঙ্গে প্রয়োজন সুন্দর বাংলা এবং প্রাঞ্জল ইংরেজিতে ভাব আদান প্রদানের যোগ্যতা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কোথায় কোথায় কাজের সুযোগ রয়েছে কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে?
রিজভী: কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থায় কাজের সুযোগ রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে চাকুরীর সুযোগ আছে। এছাড়া ফ্রিল্যান্স কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করা যায়। সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে প্রোজেক্ট ওয়াইজ। টিভি নাটকেও কাজ করা জাবে। তবে বাংলাদেশে টিভি নাটকে এখনও সেভাবে কাস্টিং ডিরেক্টরের প্রচলন হয়ে ওঠেনি।
প্রশ্ন: কেমন আয় করা যাবে এ পেশায়?
রিজভী: সংস্থা এবং কাজের পরিধি ভেদে বর্তমানে ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত মাসিক উপার্জন করা সম্ভব।
হাসনাত কাদীর: আপনাকে ধন্যবাদ।