ক্যারিয়ার গড়ুন ট্রাভেল এজেন্টে

ক্যারিয়ার গড়ুন ট্রাভেল এজেন্টে

  • ফিচার ডেস্ক 

আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হন, তাহলে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ট্রাভেল এজেন্টে। একজন ট্রাভেল এজেন্টর কাজ হল- ভ্রমণ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, ট্রাভেল প্যাকেজ তৈরী করা, কোথায় কোন সময় বেড়ানো যায় ও কেমন খরচ এসব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা, রিজার্ভেশন এবং ভিসার ব্যবস্থা করা। ভ্রমণ করা মানুষের নেশা। তাছাড়া দিন দিন ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। নাগরিক জীবন থেকে একটু স্বস্তির আমায় মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে থাকে। সেটা হতে পারে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে অথবা একাই। তাই এসব ভ্রমণ পিপাসুদের প্রয়োজন একজন ট্রাভেল এজেন্টকে। যে তাদের সুন্দরভাবে গাইড করে তার ভ্রমণকে করে তুলবে আনন্দময়। তাই আপনার যদি আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি এটাকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন এবং আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং শ্রম দিয়ে পেশাটিকে আরও চমকপ্রদ অবস্থায় নিতে পারবেন।


একাডেমিক যোগ্যতা

  • একজন ট্রাভেল এজেন্ট হতে হলে আপনাকে উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে এবং ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। উচ্চ শিক্ষা এই পেশায় আপনাকে অন্যদের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে।

ট্রাভেল প্লানিং কোর্স 

  • এটিকে পেশা হিসেবে নিতে হলে আপানার আপানর ট্রাভেলিংয়ের উপর প্লানিং কোর্স করতে হবে। আমাদের দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ট্রাভেল প্লানিং কোর্স চালু আছে। এখানে রিজার্ভেশন সিস্টেম, ট্রাভেলের নিয়মকানুন (দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক), মার্কেটিং ইত্যাদি শেখানো হয়। যা আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। চাইলে আপনি অনলাইন থেকেও অনেক ট্রেইনিং কোর্স করতে পারবেন, যা আপনাকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। এসব ক্ষেত্রে কিছু প্রোগ্রামে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থাও আছে।

ভাষাজ্ঞান বাড়ান

  • নিজের ভাষাজ্ঞানকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। অন্তত ২ টি ভাষা জানা থাকলে এটি আপনার অনেক কাজে দেবে। শুধু চাকরির করার জন্য নয়, আপনি নিজে যদি ট্রাভেল এজেন্সি খুলতে চান, তাহলে এই ভাষাজ্ঞান আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। ইংরেজির উপর বেশি গুরুত্ব দিন। কারণ ইংরেজি হল আর্ন্তজাতিক ভাষা। তাই ইংরেজিতে ভালো দখল থাকলে এটি আপানাকে অনেক দুর এগিয়ে নেবে।

আত্নবিশ্বাস বাড়ান

  • নিজের আত্নবিশ্বাসকে বাড়িয়ে নিন। কারণ মনে রাখবেন, একজন ট্রাভেল এজেন্টকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী এবং পরিশ্রমী হতে হবে। ক্লায়েন্টকে বিশ্বাস করাতে হবে যে, আপনিই সবচেয়ে ভাল ট্যুর প্ল্যান দিচ্ছেন। আপনিই সবচেয়ে কম খরচে বেশী সুবিধা দিচ্ছেন। আপনার যোগায করার ক্ষমতাও অনেক ভালো হতে হবে। কারণ ডেস্কে বসেই বেশিরভাগ কাজ যেমন ইমেইল করা, ফোনে যোগাযোগ করা, খোঁজ নেওয়া এসব করতে হবে আপনাকে।

গ্রাহকের চাহিদা

  • আপনার কাছে সব গ্রাহকই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া প্রত্যেক গ্রাহকের চাহিদা থাকবে আলাদা আলাদা। এটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। কারণ এটাই স্বাভাবিক। সবাই যার যার কাজ, ছুটি অনুযায়ী তার ভ্রমণ সাজাতে চাইবে এবং সেই সময়ের সবচেয়ে ভাল অফারটি চাইবে। আপনাকে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে।

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান 111713lifeclarkhoward

  • এই পেশায় ভালো করতে হলে অবশ্যই নিজের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনাকে গ্রাহককে কমিশন দিতে হবে। তাই অনেকের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে। বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বাড়ান, এমন মানুষদের সাথে যোগাযোগ রাখুন যাদেরকে আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে এবং যারা আপনাকে সহযোগীতা করবে।

নিজে ভ্রমণ করুন

  • নিজে ভ্রমণ করুন। তাহলে এই বিষয়ে আপানর জ্ঞান বাড়বে। কারণ সব জ্ঞান তো আর ফোনে বা ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে না। তাই আপনিও ভ্রমণ করুন। তাছাড়া নিজে ভ্রমণ করলে আপনি সহজেই এই পেশাকে বুঝতে পারবেন। নিজে ভ্রমণ করলে আপনি বিভিন্ন এলাকা সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা খুব সহজেই আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের সামনে উপিস্থাপন করতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো আপনাকে কোনো তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে হবে না।

শুরু করুন

  • আপানর জানার ভান্ডার পূর্ণ হলে এবং প্রাথমিক প্রস্তুতি যদি থেকে থাকে তাহলে, এখনই এই পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

Sharing is caring!

Leave a Comment