সময়ের পেশা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মারুফ ইসলাম
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে পোশাকশিল্প। এই খাতে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে বড় একটি অংকের পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এই খাতের পরিধিও দিনদিন বাড়ছে। এই খাতে দক্ষ জনবলের চাহিদাও তাই ক্রমেই বাড়ছে। পোশাকশিল্পে যারা কাজ করে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের তাই সুযোগ রয়েছে ভালো করার। তবে এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ।
কোথায় প্রশিক্ষণ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশান টেকনোলজি (এনআইএফটি) এই খাতের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে মানসম্মত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। এর মধ্যে এখানকার প্রফেশনাল কোর্স এমবিএ ইন ফ্যাশন ও অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং সম্পন্ন করে পোশাকশিল্পে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণ ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যে পরিমাণ সময় ও অর্থ ব্যয় করে, সেই তুলনায় প্রফেশনাল কোর্স এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং করতে খরচ একটু বেশি হলেও সময় অনেক কম লাগে। ৬ মাসে ১ সেমিস্টার করে মোট ৪ সেমিস্টার ২ বছরেই কোর্স শেষ করা যায়। এখান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করে থাকে বাংলাদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট। সেমিস্টারভিত্তিক শিক্ষাপদ্ধতিতে মোট আটটি সেমিস্টারের মাধ্যমে এ ডিগ্রি অর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতি সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের (বিটিইবি) তত্ত্বাবধানে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হয় এসএসসি পরীক্ষার পর। বাংলাদেশ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করতে চাইলে শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন : http://goo.gl/MZn22v।
এসব কোর্স করে গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল কারখানাগুলোয় বিভিন্ন উচ্চপদে চাকরির সুযোগ পাওয়া যাবে। ফ্যাশন ডিজাইনার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার, প্রোডাক্ট ডেভেলপার, বিজনেজ ডেভেলপার, প্রোডাকশন ম্যানেজার, ফোরকাস্টার, রিটেইল প্ল্যানারস, প্রজেক্ট অ্যানালাইজার, প্রোডাকশন প্ল্যানার, মার্চেন্ডাইজার প্রভৃতি পদে বেতনও ভালো পাওয়া যায়। এর সাথে বাড়তি অনেক সুবিধাও পাওয়া যায়।