ডিপ্লোমা প্রকৌশলের যত বিষয়
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা। এ দুয়ে মিলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন বিষয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশল পড়া যায়।
বস্ত্র প্রকৌশল
ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের চাহিদা বেশি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল। সরকারের বস্ত্র দপ্তরের (www.dot.gov.bd) আওতায় দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বরিশাল শহীদ সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট—এই তিনটি সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আছে ২১টি। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কৃষি প্রকৌশল
কৃষি ক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোডের্র অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে মোট ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ কমপক্ষে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস
তিন বছর মেয়াদি এই কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯। প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো হলো: ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার, ফিজিওথেরাপি, ফার্মা, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং, ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। যেসব শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাঁদের এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ-২ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। এখানে যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে৷
কোথায় পড়া যাবে
বর্তমানে ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা পাঁচটি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট তিনটি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা তিনটি। বেসরকারী পলিটেকনিকের সংখ্যা ২৭৫টি।
ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম
৫০ নম্বরের (বিজ্ঞান-১৫, গনিত-১৫, বাংলা+ইংরেজি-১৫, সাধারণ জ্ঞান-৫) MCQ সিস্টেমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র উত্তরপত্রে সঠিক উত্তরটি ভরাট করতে হবে। সময় থাকবে ৫০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে। মোট ১০০ নম্বর নিয়ে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয় । তারমধ্যে বাকী ৫০ নম্বর হচ্ছে আপনার এসএসসি জিপিএ অর্থাৎ প্রাপ্ত জিপিএকে ১০ দ্বারা গুণ করে তার সাথে যোগ করা ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দিবে।
ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেতে যে বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দিতে হবে
এসএসসিতে সাধারণ গণিত, বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত এই বিষয়গুলোতে ভাল গ্রেড তুলতে পারলে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেতে সহায়ক হবে। আর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা ভর্তি পরীক্ষায় বেশী চান্স পায়।