মেডিকেল মানে কি শুধুই এমবিবিএস ?
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শেষে একজন শিক্ষার্থী কি শুধুই এমবিবিএস হিসেবে ক্যারিয়ার গড়েন? না, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন স্তরে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যেতে পারে। যেমন:
১। এম বি বিএস (অনার্স কোর্স)
২। বিডিএস (অনার্স কোর্স)
৩। ডেপ্লোমা ইন হেলথ টেকনোলজি
বিষয়
Bachelor in Medicine & Bachelor in Surgery (MBBS) কোর্সটি দেশের একমাত্র কোর্স যেখানে একই সাথে দুটি বিষয়ে (মেডিসিন ও সার্জারি) অনার্স করানো হয়।
সময়
MBBS কোর্সটি ৫ বছর ব্যাপী একটি কোর্স। এরপর এক (১) বছর ইন্টার্নশিপ রয়েছে। তবে ইন্টার্নী করার সময় ডাক্তারগণ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন।
যা পড়ানো হয়
৫ বছর ব্যাপী ও কোর্সটিতে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মেডিসিন, সার্জারী ও গাইনকোলজি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
চাহিদা
সমাজে ডাক্তারদের চাহিদা সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছুই নেই। সেই আনাদিকাল থেকে ডাক্তারগণ সমাজের অবকাঠামোর অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে টিকে আছেন। সমাজের সর্বত্রই ডাক্তারদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং সম্ভবত পেশাগত মর্যাদার দিক থেকে ডাক্তাররাই সবার চেয়ে এগিয়ে। এই পেশায় একদিকে যেমন সম্মান অন্যদিকে হালাল উপায়ে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে।
এই অনার্স ডিগ্রি নেওয়ার পর একজন ডাক্তর যেমন সরাসরি চিকিৎসা সেবায় অংশগ্রহন করতে পারেন এবং ক্লিনিক্যাল সেক্টরে উচ্চতর ডিগ্রি যেমন এম ডি/ এম এস (চিকিৎসা শাস্ত্রে মাস্টার্স কোর্স) অথবা এফসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়াম এন্ড সার্জনস কর্তৃক প্রদত্ত এমআরসিপি (রয়েল কলেজ অব ইংল্যান্ড কর্তৃক প্রদত্ত) ইত্যাদি করার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন আবার এমবিবিএস করার পর বিভিন্ন নন ক্লিনিক্যাল সবাজেক্ট যেমন হেলথ ইকোনমিক্স, পাবলিক হেলথ, মাইক্রোবায়েলজি, এম্ত্রায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইম্মুউনোলজি, বায়োক্যাম্যাষ্ট্রি ইত্যাদির মত অসংখ্য কোর্সে মাষ্টার্স বা পিএইচডিকরা যায়।
কোথায় পড়ানো হয়
আমাদের দেশে বর্তমানে ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর সবগুলোতেই MBBS কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২০৬০টি। ছাত্রদের পছন্দ ও মেধাস্থান অনুযায়ী কে কোন মেডিকেলে চান্স পাবে তা নির্ধারিত হয়। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর নাম–
১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
২. স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৩. বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৪. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
৫. চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্রগ্রাম।
৬. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
৭. সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
৮. শের–এ–বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।
৯. খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা।
১০. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া।
১১. রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
১২. ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর।
১৩. দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর।
১৪. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
১. বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
২. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
৩. ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ ক্যাব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম।
৪. মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন্স, উত্তরা, ঢাকা।
৫. জরিনা শিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ, রায়ের বাজার, ঢাকা।
৬. ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
৭. ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
৮. সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
৯. ডা. ইবরাহীম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১০. জালালাবাদ আর আর মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১১. ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, জনসন রোড, ঢাকা।
১২. কম্যুনিটি বেইসড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
১৩. নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট।
১৪. হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
১৫. নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
স্কলারশীপ
মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এ সংক্রান্ত বৃত্তির সংখ্যা নগণ্য।
দেশে: (ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি,
(খ) ইমদাদ সিতারা বৃত্তি,
(গ) ফেয়ার এন্ড লাভলি বৃত্তি (শুধুমাত্র মেয়েদের)।
বিদেশে: (ক) মনোবুশো বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য)
(খ) কমনওয়েলথ বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য)
1 Comment on this Post
shajib hasan
খুবই গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন।ধন্যবাদ আপনাদের।