ইন্টারভিউ বোর্ডে যে ভুলগুলো করবেন না

ইন্টারভিউ বোর্ডে যে ভুলগুলো করবেন না

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক 
পড়াশোনা শেষ? এবার তো ভাবতে হবে ক্যারিয়ারের কথা! একটা মানানসই চাকরির জন্য জমা দিতে হবে সিভি। অনেকক্ষেত্রে আমাদের সিভি মেইল করতে হয়। কোথাওবা সিভি পাঠাতে হয় ডাকযোগে। অনেক অফিস পছন্দ করেন ‘Walk in interview’ নিতে। ইন্টারভিউ বোর্ডে নার্ভাস হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এর সাথেই জড়িয়ে থাকে চাকরি না পাওয়ার মত বিপত্তিটি। আসুন জেনে নিই, চাকরির এই সাক্ষাতকারে কোন ভুলগুলো করা যাবে না একেবারেই।
নার্ভাস হয়ে ভুল উত্তর দেওয়া
হয়ত আপনি একেবারেই নতুন। প্রথমবার ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন। কিন্তু প্রথমবার হোক আর বহুবার মুখোমুখি পরীক্ষায় নার্ভাস হন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তাই আপনার যে ভয়ের অনুভূতিটি হচ্ছে সেটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তবু নিজেকে সামলে নিতে হবে আপনার। ভেতরে যতই ভয় কাজ করুক না কেন, বাইরে একদম প্রকাশ পেলে চলবে না। আর উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই হতে সাবধানী। জানা উত্তর যেন ভুল না হয় কোনভাবেই।
পাল্টা প্রশ্ন করা
ইন্টারভিউ বোর্ডে কখনো পালটা প্রশ্ন করা যাবে না। আপনাকে যে প্রশ্ন করা হবে ঠিক সে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে শুধু। বাড়তি কথা বলা কোনমতেই পছন্দ করেন না ইন্টারভিউয়াররা। তারা পুরো সময়টাতেই আপনার মাইন্ড রিড করে চলেছেন। যতটুকু সময় আপনি আছেন, তারা সারাক্ষণই আপনাকে খেয়াল করছেন। বাড়তি জ্ঞান দেখানো বা পালটা প্রশ্ন করা আপনার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া
যদি জিজ্ঞেস না করা হয় তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরিত থাকুন। আমাদের দেশে ইন্টারভিউ বোর্ডে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে প্রচুর এলোমেলো প্রশ্ন করা হয়। অনেক সময় প্রশ্ন কর্মসংশ্লীষ্টতা ছাড়িয়ে চলে যায় ব্যক্তি পর্যায়ে। নিজের স্মার্টনেস ব্যবহার করুন। যত কম তথ্য দিয়ে উত্তর দিতে পারবেন ততই ভাল।
দক্ষতা না তুলে ধরা
নিজের দক্ষতা তুলে ধরুন। আপনি যদি ভাল ইংরেজি বলতে জানেন, তাহলে উত্তর দেওয়ার সময় এই দক্ষতা প্রকাশ করুন। এটি আপনার সম্পর্কে ভাল ইম্প্রেশন তৈরি করবে। আবার হয়ত আর কোন ভাষা জানেন আপনি। টেকনোলজির ব্যবহার ভাল পারেন, এটাও হতে পারে। তবে অবশ্যই সেটা আপনার চাকরির সাথে মানানসই হতে হবে। আমরা অনেক সময়ই নিজের দক্ষতা থাকা স্বত্তেও ইতস্তত করে সেটা প্রকাশ করি না, পরে আফসোস করি।
পোশাক নির্বাচন
ইন্টারভিউতে পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পোশাক আপনার প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে। কিন্তু তরুণদের মধ্যে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রায়ই ভুল হতে দেখা যায়। অবশ্যই সাক্ষাতকারের সময় অতি উজ্জ্বল রঙের পোশাক পড়া উচিৎ নয়। চাকরি যেমনই হোক, পোশাক ফরমাল হওয়া চাই। চুল বাধা, জুতা মেলানো সব কিছুতে প্রকাশ পাওয়া চাই আপনার ব্যক্তিত্ব।
অপ্রয়োজনে হেসে ফেলা
আপনাকে যত অদ্ভুত প্রশ্নই করা হোক না কেন অপ্রাসঙ্গিকভাবে হেসে ফেলবেন না। নিজের গাম্ভীর্য বজায় রাখুন। কোনভাবেই আপনাকে যেন বোকা মনে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। নার্ভাসনেসের কারণে অনেক সময় আমরা খেয়াল না করে হেসে ফেলি, যা পুরো বিষয়টিকে হালকা করে দিতে পারে।
অপ্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করা
আপনাকে নিজের জীবনের কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে বলা হতে পারে। অনেক সময় আমরা খুজে পাই না কি বলব। এমন কোন অভিজ্ঞতা হয়ত শেয়ার করে ফেললাম যা চাকরির সাথে যায় না কোনদিক থেকেই। জ্বী, এই অভিজ্ঞতাও চাকরি সংশ্লীষ্ট হওয়া জরুরি। বরং এটাই সুযোগ আপনার যোগ্যতা প্রকাশ করার।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment