ভিডিও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ভিডিও তৈরি করা : ভিডিও তৈরি করার জন্য অবশ্যই ভালো কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ফ্রি তে অনেক ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার পাবেন, কিন্তু আমি বিশেষভাবে ব্যবহার করেত বলব অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো, কেমটেসিয়া, এবিএস ভিডিও এডিটর , ফাইনাল কাট প্রো, সনি ভেগাস মুভি স্টুডিও , লাইট ওয়ার্কস, চূড়া স্টুডিও, কোরেল ভিডিও স্টুডিও, আই মুভি, পিটিভি, উইন্ডোজ মুভি মেকার ইত্যাদি। এই সফটওয়্যারগুলো আপনি ম্যাক ও উইন্ডোজ দুটোতেই ব্যবহার করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করা অনেক সহজ একটি কাজ যদি আপনি অনেকটা ধৈর্য ধরে এ কাজটি শিখতে পারেন। এ ছাড়াও আরও যে যে এডিটিং সফটওয়্যার আছে সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি : ইউটিউব-এ চ্যানেল খুলতে হলে সব থেকে আগে আপনাকে ইউটিউব-এ সাইন ইন করতে হবে। আপনার জিমেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন। সাইন ইন করার পর এবার আপনার সামনে যে স্ক্রিনটি আসবে তার ডান দিকের কোনায় প্রোফাইল পিকচার অপশনে একটি ক্লিক করুন। তারপর ইউটিউব সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন। সেটিংস অপশনে ক্লিক করার পর ক্রিয়েট-এ নিউ চ্যানেল নামের যে অপশনটি আছে তাতে একটি ক্লিক করুন। বক্সে আপনার চ্যানেলের নাম দিন। ক্যাটাগরিতে বাছাই করুন কোন ধরনের চ্যানেল আপনি খুলতে চান। এবার আই এগ্রি টো পেইজ টার্ম লেখায় টিক দিয়ে ডানে প্রেস করুন। আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এবার আপনাকে সুইটেবল থাম্বেল ইমেজ এবং কভার ইত্যাদি আর ছোটখাটো যা যা দরকার সেগুলো সব ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী করে নিতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলের ড্যাশবোর্ড থেকে মনিটাইজেশান এনাবল করতে হবে। ব্রান্ডিং থেকে সাবস্ক্রাইব বাটন অ্যাড করতে হবে। আশা করি নিজের থেকে এই কাজগুলো করতে পারবেন। না পারলে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে অথবা পোস্টের নিচে কমেন্ট করে বিষয়টি জানান। সব শেষ হয়ে গেলে এবার আপনার ভিডিও আপলোড করা শুরু করে দিন।
ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড : ভিডিও আপলোড করতে হলে প্রথমে ভিডিও ট্যাবটি প্রেস করুন। তারপর আপলোড-এ ভিডিও লেখাটাতে ক্লিক করুন। ব্যস তারপর পছন্দ মতো ভিডিও সিলেক্ট করে আপলোড করে দিন আপনার সদ্য নির্মিত ইউটিউব চ্যানেলে। শুধু ভিডিও আপলোড করলে হবে না, ভিডিও আপলোড করার অনেক নিয়মাবলী আছে সেগুলোও যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সেরা ১৪টি টিপস দেয়া হল :
১. প্রথমে ভিডিওটিকে রিনেইম করতে হবে (৪ থেকে ৭ শব্দের মধ্যে)।
২. ভিডিওটি আপলোড করার আগে আনলিস্টেড করে আপলোড করতে হবে।
৩. টাইটেল-এ সরাসরি ভিডিও নামটা চলে আসবে। টাইটেল-এ লংটেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
৪. ডেসক্রিপশন লিখার সময় ডেসক্রিপশন-এ প্রথমে টাইটেল থাকবে। ডেসক্রিপশন ৩০০ থেকে ৫০০ ওয়ার্ডের মধ্যে লিখতে হবে।
৫. ডেসক্রিপশনের মধ্যে ওয়েবসাইটের লিংক অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. ডেসক্রিপশনের শেষ অংশে ৬টি ভাইরাল কিওয়ার্ড বার ব্যবহার করে লিখতে হবে।
৭. ট্যাগ অপশন-এ প্রথমে ভিডিও নামটাকে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। একই ট্যাগ একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।
৮. কাস্টম থাম্বেল ব্যবহার করার সময় স্ক্রিন শট ইমেজ ব্যবহার করলে ভালো। ইমেজ ব্যবহার করার সময় ইমেজ নেইমটা রিনেইম করে নিন।
৯. এডভান্স অপশন থেকে ভিডিও ক্যাটাগরি অনুযায়ী ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
১০. ভিডিও ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ করে দিতে হবে।
১১. ভিডিও আপলোড করার পর ভিডিও’তে এনোটশান ব্যবহার করতে হবে। এনোটশান করার সময় অবশ্যই কাক্সিক্ষত ভিডিও লিংক ব্যবহার করতে হবে।
১২. এবার ভিডিওটা পাবলিক করে দিতে হবে।
১৩. মনিটায়জেশন অপশন থেকে ভিডিওটিকে মনিটায় করে নিতে হবে।
১৪. এই ভিডিওটার ওপর একটি প্লে লিস্ট তৈরি করে নিতে হবে। প্লে লিস্টে সবার উপরে থাকবে আপনার ভিডিও এবং এই রিলেটেড অন্য ভিডিওগুলোর নিচে থাকবে। একটা প্লে লিস্টে অন্য চ্যানেলের ৫টা ভিডিও লিংক ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপলোডকৃত ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার : এবার আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। কারণ শুধু আপলোড করে দিলেই হবে না। জনপ্রিয় হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন : ফেসবুক, টুইটার, গুগল+ ইত্যাদিতে শেয়ার করুন।
আপনার ভিডিওয়ের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করুন। একটা কথা ভালো করে মনে রাখবেন, ইউটিউব ভিডিও পাবলিশিংও এক ধরনের ব্লগিং। তাই, আপনাকে ইউটউব, গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছু ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। শুধু আপনার টপিক রিলেটেড সাইটে লিংক তৈরি করুন। আপনার প্রতিযোগীদের বা আপনার মতো কাজ করছেন এরকম লোকদের অনুসরণ করুন। আপনি যদি সফল হতে চান, তাহলে আপনার প্রতিযোগীদের অনুসরণ করুন। দেখুন তারা কীভাবে সফল হচ্ছেন। তাদের সফলতার ইতিহাসটা পড়ুন।