দূর হোক কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তি
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসে কাটাতে হয়। সে কারণে সতেজ থাকাটা জরুরি। অফিসের কাজের চাপ মানসিক চাপ বাড়ায়। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে অফিসে যেমন কাজে মন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি বাড়ি ফিরেও অন্য কোনো কাজে মন দেওয়া সম্ভব হয় না। এতে কাজের ক্ষতি হয়। শরীরেও এর প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি-অবসন্নতার কারণে কাজে মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঝামেলা হয়ে যায়। সে কারণে কর্মক্ষেত্রে সতেজ থাকাটা জরুরি।
কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ক্লান্তি-অবসন্নতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—
রাতের বেলা সময়মতো ঘুমানোটা অনেক বেশি জরুরি। ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে সকালে উঠে সতেজ ভাব কাজ করবে এবং কর্মক্ষেত্রেও ক্লান্তি কাজ করবে না। প্রতি রাতেই একই সময় ঘুমিয়ে সকালে একই সময়ে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন। ঘুমের পরিবেশটা নিরিবিলি কি না, তা নিশ্চিত করুন।
প্রতিদিন সকালে ভালোভাবে ভারী নাশতা করুন। অনেক সময় অনেকে তাড়াহুড়া করে সকালের খাবার খেতে ভুলে যান। কিন্তু এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালে ভালোভাবে খাবার খেলে সহজে ক্লান্ত হবেন না।
দুপুরে যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান। দুপুরে অনেকেই ভারী খাবার খেয়ে থাকেন; ফলে ক্লান্তি কাজ করে এবং কাজে মন দেওয়া সম্ভব হয় না।
বারবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। অর্থাৎ কাজের ফাঁকে ফলমূল, বাদাম অথবা সবজি খাওয়া যেতে পারে।
অফিসে চা-কফি পান করুন। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় নয়, অর্থাৎ তিন কাপের বেশি নয়। কারণ, কফিতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজন ক্লান্তি-অবসন্নতার মূল কারণ হয়ে যায়। শরীরের ওজন কম থাকলে এমনিতেই ফুরফুরে থাকবেন।
অফিসে একটানা বসে কাজ করবেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝেমধ্যে ব্যায়াম করুন, উঠে হাঁটাহাঁটি করুন।
অফিসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগলে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ১৫-২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিলে ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা যায়।
প্রতিটা কাজ করার আগে একটা পরিকল্পনা রাখা উচিত। কোন কাজটা আগে করা হবে, কোন কাজটা পরে করা হবে, এভাবে পরিকল্পনামাফিক গুছিয়ে নিলে চাপ কম পড়ে।
কর্মক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি করুন।