হতে চাইলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী

হতে চাইলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী আজ হাতের মুঠোয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মূল হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার। হাজারো কঠিন কাজের সমাধান হয় এই যন্ত্রের সাহায্যে। আর বিভিন্ন কাজকে আরো সহজতর করতে এর ভেতর সংযোজন করা হয় নতুন নতুন সফটওয়্যার। বর্তমানে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সফটওয়্যার রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। ফলে, বর্তমানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বেশ ভালো প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া, ভারত সফটওয়্যার রফতানি করেও আয় করছে শত শত কোটি ডলার। তবে, বর্তমানে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার রফতানি করা শুরু করেছে এবং বছরে মিলিয়ন ডলার আয়ও হচ্ছে ওই সফটওয়্যার রফতানি থেকে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তৌহিদ ভূইয়া বলেন, গতানুগতিক বিষয়গুলো থেকে এই বিষয়টি একটু কঠিন বলে অনেকের বদ্ধমূল ধারণা যে, মেয়েরা এই বিষয়ে পড়তে চায় না। তবে এটা একেবারেই ভুল ধারণা। বর্তমানে এই শাখায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এবং পরীক্ষার ফলাফলের দিক থেকেও মেয়েদের অবস্থান ঈর্ষণীয়। এছাড়া, তৌহিদ ভূইয়া আরো বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীরা সম্মানের সাথে কাজ করছে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা কর্মক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যবহার ক্ষেত্র, ব্যবহারে বৈচিত্র্য, বাজার চাহিদা, অধিকতর কার্যক্ষমতা ও আধুনিকতা প্রভৃতি মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। বর্তমানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাইলে আপনিও আসতে পারেন এই পেশায়।

কোথায় পড়বেন

daffodil-international-universityসফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আসতে চাইলে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ডিগ্রি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হলে ভালো হয়। সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, বর্তমানে অল্পসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে শুধুমাত্র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) ইত্যাদি। চাইলে সম্পন্ন করতে পারেন এই বিষয়ের উপর স্বল্প মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সও।

সুযোগ-সুবিধা

বর্তমানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেশ ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানিতে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে পারেন। ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলে নিজস্ব সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে কার্যক্ষমতা অনুযায়ী উপার্জন করতে পারেন।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment