আইন পেশায় উজ্জ্বল ক্যারিয়ার

আইন পেশায় উজ্জ্বল ক্যারিয়ার

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

নামের আগে বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অধ্যাপক (আইন), ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেট পদবিগুলো দেখতে কার না ভালো লাগে? এ পদবিগুলো যতটা আকর্ষণীয় এগুলো অর্জন করা ততটা সাধনার ব্যাপার। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রতিযোগিতা করে আইন পেশায় ভালো করতে হয়। যারা এ পেশায় আসতে চান তারা এসব জেনে বুঝেই আসেন। যারা ধৈর্য-একাগ্রতা নিয়ে আইন বিষয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে প্রাকটিসে সততা ন্যায়নিষ্ঠা বজায় রাখেন তাদের জন্য এ পেশায় রয়েছে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি।


বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমের শীর্ষে উঠে এসেছে আইন বিষয়ে পড়ালেখা। মেধাবীরাই আইনে পড়তে আসছে। এক্ষেত্রে একটি সুবিধা হচ্ছে- যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীর আইন পড়ার সুযোগ আছে। সে বিজ্ঞানের ছাত্র হোক, মানবিক, বাণিজ্য কিংবা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের হোক না কেন। বিসিএস ও অন্য যে কোনো নন ক্যাডারের চাকরি, ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে আইনের ছাত্রদের অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ আছে। বিশেষ কিছু পেশা আছে যেখানে শুধু আইনের ছাত্ররাই কাজ করতে পারবেন, অন্যরা নয়। যেমন- ওকালতি। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে জাজশিপ। ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, সশস্ত্র বাহিনীতে ল’ অফিসার হিসেবে শুধু এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদেরই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইন কলেজে আইন বিভাগের গ্রাজুয়েটদের শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।

মানসিক প্রস্তুতিই হচ্ছে আইন পেশার প্রধান হাতিয়ার। আইন পেশার শুরুটা একটু চ্যালেঞ্জের, একটু দুর্ঘম। তাই শুরু থেকে কঠিন পরিশ্রম, প্রত্যয় এবং একাগ্রতা নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। তা ছাড়া এখানে রাজ্যের ধৈর্য নিয়ে আপনাকে বিচারপ্রার্থীর সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনার মানসিকতা রাখতে হবে। এ পেশার শুরুটা করুন একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে কাজ দিয়ে। প্রথমে আয়-রোজগারের দিকে না তাকিয়ে কাজের প্রতি মনোযোগী হোন। একাডেমিক ফলের চেয়ে আইন পেশায় পেশাজীবনের মেধা, আইন সম্পর্কে খুটিনাটি জানাশোনা, পরিচিত, পরিশ্রম ও ধৈর্যই আপনাকে এনে দেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এই পেশার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করেই এগিয়ে যেতে হবে আগামীর সাফল্য পেতে। আইনজীবী হতে হলে আপনাকে আইনের ওপর ডিগ্রি নেয়ার পর বার কাউন্সিল থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হতে হলে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত নিু আদালতে কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বার কাউন্সিলের পরীক্ষার দেয়াল টপকাতে হবে।

আর বিচারক হতে হলে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগের পরীক্ষায় মেধার সাক্ষর রাখতে হবে। তবে এখন সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেও আপনার আইনজীবী হিসেবে সনদ থাকতে হবে। বিচারক আর আইনজীবী হিসেবে অন্তত ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে বিচারপতি হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

একজন আইনজীবী আইন পেশার পাশাপাশি যে কোনো কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার, যে কোনো ব্যাংকের নিজস্ব আইনজীবী অথবা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার আইন উপদেষ্টা হিসেবে চাকরি করতে পারেন। আইন কমিশনেও চাকরির সুযোগ আছে। এখানে আয় ও সম্মান উভয়টি ভালো মানের। একজন আইনজীবীর কাজের পরিধি সম্প্রসারিত হচ্ছে। তা ছাড়া মানবাধিকার আইনজীবী ও কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থায় কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিচারক ও আইনজীবী হিসেবে কাজেরও সুযোগ আছে। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে আদালত প্রতিবেদক হিসেবে আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়।

আইন পেশাটা পুরোই আপনার কাজের ওপর নির্ভর করবে। কাজ বলতে মেধা এবং অভিজ্ঞতা। আপনি এখানে যতই মাথা খাটাতে পারবেন ততই ভালো একটা অ্যামাউন্ট পকেটে পুরতে পারবেন। তা ছাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ পদে নিয়োগ পেলে সর্বোচ্চ সম্মান, রাজ্যের সুবিধাসহ রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মোটা অংকের বেতন তো আছেই। তবে আইনজীবী হলে আয়-রোজগারের বিষয়টি পরিচিতি, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, সামাজিক যোগাযোগ ও মামলার ধরনের ওপর নির্ভর করে। হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মাসিক আয় মামলার ধরন অনুযায়ী ৬০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। আইন পেশায় সদ্য যোগদানকারীরা ভালো টাকা আয় করতে পারেন মাথা খাটিয়ে। একজন নতুন আইনজীবী সাধারণত ৩০-৩৫ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন অনায়াসে। আইনের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার অপরচ্যুনিটি নিয়ে আমরা কথা বলেছি একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান।

সা         ক্ষা            ৎ            কা                 র

প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন খান

স্যার আপনার কাছে প্রথমেই জানতে চাইব, আইনের শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় কাজ করার সুযোগ আছে, সে সম্পর্কে?

ড. বোরহান উদ্দিন খান : এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট করে উত্তর দেয়ার আগে আমি একটু আলোকপাত করব, কারা আইন বিষয়ে পড়তে পারবে সে সম্পর্কে। যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীর আইন পড়ার সুযোগ আছে। সে বিজ্ঞানের ছাত্র হোক, মানবিক, বাণিজ্য কিংবা মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের হোক না কেন। অনেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে। অনেকে এলএলএম করে। প্রত্যেকেরই কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আইনে যেহেতু সবার পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে সেহেতু এ পেশায় উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগও আছে। কলা, সোস্যাল সায়েন্স, বাণিজ্যের যে কোনো বিষয়ে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করে যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া যায় ওইসব ক্ষেত্রে আইনের শিক্ষার্থীদেরও চাকরি করার সুযোগ আছে। যেমন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতায় বিসিএসসহ অন্য যে কোনো নন ক্যাডারের চাকরি, ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে আইনের ছাত্রদের অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়োগে আইনের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া বিশেষ কিছু পেশা আছে যেখানে শুধু আইনের ছাত্ররাই কাজ করতে পারবে, অন্যরা পারবে না। যেমন- ওকালতি। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে জাজশিপ পরীক্ষায় শুধু আইনের ছাত্রদেরই অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতি হওয়ার সুযোগ শুধু আইনের শিক্ষার্থীদেরই রয়েছে। ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ল’ অফিসার হিসেবে শুধু এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদেরই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে ল’ অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান আইন পড়ুয়ারাই। দেশের ৪০ থেকে ৫০টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরাই শিক্ষকতা করছেন। দেশে ৭০টিরও বেশি আইন কলেজ আছে যেখানে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন বা পূর্ণকালীন শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। মোটকথা আইনের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার অপরচ্যুনিটির কথা বলে শেষ করা যাবে না।

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওগুলোতে লিগ্যাল অ্যাডভাইজার কিংবা ল’ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কোন যোগ্যতাগুলোকে বিবেচনায় নেয়া হয়?

ড. বোরহান : দেশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা আছে যারা ল বেস্ড কাজ করে। যেমন- আইন ও শালিস কেন্দ্র, বেলা, বিএনডব্লিউএলএ, অধিকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা ইত্যাদি। সেখানে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়। আবার ব্র্যাক-এর লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টে বহু শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। এছাড়া দেশে বহু সরকারি-বেসরকারি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল অ্যাডভাইজার, ল’ অফিসার পদে আইনের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়। বহু মানবাধিকার এনজিও আছে যেখানে আইনের গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ দেয়া হয়। এসব নিয়োগে আবেদনকারীর একাডেমিক ডেপথ, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, আইন সম্পর্কে তার জানার গভীরতা এসব বিষয় বিবেচনা করা হয়। এখানে রেজাল্ট ফ্যাক্টর নয়। তার দক্ষতা, যোগাযোগ ক্যাপাসিটি, পরিচিতি, সুনাম এসব বিষয় দেখা হয়। যার ওপর আস্থা বা বিশ্বাস করা যায়, যে সৎ-ন্যায়নিষ্ঠ তাদেরই নিয়োগ দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠান।

আইন পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বা আগ্রহ কমছে বা বাড়ছে?

ড. বোরহান : বহুমাত্রিক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ঝোঁক দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ কিছু সম্মানজনক চাকরির সুযোগ শুধু আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকায় এ বিষয়ে তরুণরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বতর্মান প্রজন্মের কাছে আইনে পড়া অনেকটা স্বপ্নের মতো। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যারা প্রথম দিকে থাকেন তাদের অনেকেরই প্রথম চয়েজ থাকে আইন বিভাগ। অর্থনীতির আগেই আইন শেষ হয়ে যায়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, ইসলামী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই মেধাবী শিক্ষার্থীরা আইনে পড়তে আসছে। কারণ মেধাবীরা জানে আইনে পড়ছে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে সরাসরি নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবার প্রাকটিস করেও বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কতটা পাচ্ছে?

ড. বোরহান : প্রতিবছর আমাদের বহু শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে যাচ্ছে। কেউ কেউ লন্ডনে বার এট ল’ কেউবা যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাটর্নি অ্যাট ল’ ডিগ্রি করতে যাচ্ছে। দেশে বহু ব্যারিস্টার রয়েছেন যারা লন্ডন থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এসেছেন।

যারা বার অ্যাট ল’ করার স্বপ্ন দেখেন তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?

ড. বোরহান : আমি বলব, ব্যারিস্টার হওয়াটাই সব কিছু নয়। আইন শিক্ষা করা এবং এর যথাযথ প্রাকটিস করাটাই মূলকথা। ৩ বছরের কোর্স করে লন্ডনের কোর্টে প্রাকটিস করে বার এট ল’ সনদ নিয়ে আসা যায়। দেশে এসে এর যথাযথ প্রয়োগ না করতে পারলে খুব একটা লাভ নেই। আমার পরামর্শ হচ্ছে যে, যেখানেই পড়ছেন আইনের খুনিনাটি বিষয়ে অগাধ জ্ঞান অর্জন করুন।

জাজশিপ পরীক্ষায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে…

ড. বোরহান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো করে বিষয়টি সঠিক নয়। তবে তুলনামূলক এখানকার শিক্ষার্থীদের সাকসেস রেট বেশি। এর কারণ তুমুল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরাই এখানে ভর্তি হচ্ছে। এখানে শিক্ষাপদ্ধতি ভালো, শিক্ষার্থীরা সিরিয়াসলি পড়ালেখা করে তাই তারা জাজশিপ পরীক্ষায় ভালো করছে। অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরাও এ পরীক্ষায় ভালো করছে।

বার এর নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। পরীক্ষা পদ্ধতি আগের চেয়ে কঠিন হয়ে গেছে। এ পরীক্ষায় কিভাবে ভালো করা যায়?

ড. বোরহান : পরীক্ষা পদ্ধতি কঠিন হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি লোকজন আইনে ডিগ্রি নিচ্ছে। বহু আইন কলেজও হয়েছে। সেজন্য কোয়ালিটি ম্যানটেইন করতে পরীক্ষা ভালো করে নেয়া হচ্ছে। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ চারটিতে গ্রাজুয়েশন লেভেলে আইন পড়ানো হতো। এগুলো থেকে বছরে গড়ে ৬০০ গ্রাজুয়েট বের হতেন। বর্তমানে কমপক্ষে ৪০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে গড়ে ২০ হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছেন। সুতরাং কোয়ালিটি ঠিক রাখতে বারে নিবন্ধন পরীক্ষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা একাডেমিক পড়ালেখা ভালো করেন, যাদের আইন সম্পর্কে গভীরতা আছে তারা ভালো করে থাকেন।

দেশের বহু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আইন পড়ানো হচ্ছে। এগুলোতে পর্যাপ্ত রিসোর্স আছে কিনা। যথাযথ শিক্ষাটা ছাত্ররা পাচ্ছে কিনা?

ড. বোরহান : সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেসব প্রতিষ্ঠানে আইন পড়ানো হচ্ছে তাদের শিক্ষার মানটা ঠিক রাখতে হবে। নতুবা শিক্ষার্থীরা ঠিকই সনদ নিয়ে বের হবে কিন্তু ক্যারিয়ার গড়তে পারবে না। এতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আমার বিশ্বাস সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হবেন।

স্যার সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ড. বোরহান : আপনাকেও ধন্যবাদ। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment