জুয়েলারি ডিজাইনিং
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
কয়েকবছর আগে কারিগররাই থাকতেন ডিজাইনারের ভূমিকায়। তবে এখন জুয়েলারি ডিজাইনাররা সেই ভার তুলে নিয়েছে নিজেদের কাঁধে। আর জুয়েলারি ডিজাইনার হতে চাইলে প্রয়োজনীয় তালিম পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেহায়েত কম নেই এখন রাজধানীতে। যেকোনো বিষয়ে পড়ালেখা করেই আসা যায় জুয়েলারি ডিজাইনিংয়ে। তবে আঁকার উপর দখল থাকতে হয়। বিভিন্নরকম জেম স্টোন চেনা, কালার স্কিম, ডিজাইন থিম, কস্টিউম জুয়েলারি, জুয়েলারি কস্টিং প্রভৃতি বিষয় থাকে এই কোর্সে।
পোশাক তো বটেই, তরুণদের মধ্যে অ্যাকসেসরিজ নিয়েও যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছে সময়ের সাথে সাথে। এসব অ্যাকসেসরিজের মধ্যে প্রথমেই আসে গয়না বা জুয়েলারি। জুয়েলারির ক্ষেত্রে গত কয়েকবছরে এসেছে নানা ধরনের পরিবর্তন। আগেকার আমলের সেই একই ডিজাইনের জুয়েলারিতে এখন আর মন ভরে না তরুণ প্রজন্মের। আর তাই তাদের প্রয়োজন হয়ে ওঠে এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের গয়না। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক শেল বা পুঁথি, প্রেসাস বা সেমি-প্রেসাস স্টোন, আনকাট ডায়মন্ড, সবধরনের জুয়েলারি আর নিত্যনতুন ডিজাইনে ছেঁয়ে আছে জুয়েলারি স্টোরগুলো। এসব এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের পেছনে রয়েছে ডিজাইনারের সৃজনশীলতা। ডিজাইনের দিকে যাদের ঝোঁক রয়েছে, তারা জুয়েলারি ডিজাইনিংয়ে গড়ে তুলতে পারে ক্যারিয়ার। জুয়েলারির জগতে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করার সক্ষমতাই এই পেশায় আসার প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এর জন্য বিশেষ প্রয়োজন কল্পনাশক্তি। সৃজনশীলতার পাশাপাশি অবশ্য প্রায়োগিক শিক্ষার প্রয়োজনও আছে এই পেশায়।
কাজের ধরন : শুধু দামী গয়নাই নয়, এখন কস্টিউম জুয়েলারির বাজারও বেশ ভালো। সোনা, রূপা, হীরা, জেম স্টোনের পাশাপাশি কস্টিউম জুয়েলারির ক্ষেত্রে মাটি, বিভিন্ন রকমের বিডস, ঝিনুক, কাঠ, টেরাকোটা, জুট ইত্যাদির উপরেও নিজের সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে হয় জুয়েলারি ডিজাইনারদের। কম্পিউটারে বা কাগজে স্কেচ করা থেকে শুরু করে কারিগরদের দিয়ে গোটা একটা জুয়েলারি তৈরির প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করতে হয় জুয়েলারি ডিজাইনারদের। জুয়েলারি তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
কাজের সুযোগ : আগে শুধুমাত্র বিভিন্ন জুয়েলারি শপে ডিজাইনারদের নিয়োগ দেওয়া হলেও এখন এই পেশায় কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। এখন ছোট-বড় জুয়েলারি শপের পাশাপাশি অনেক ফ্যাশন হাউজ গড়ে উঠেছে, যেখানে এসব ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলেও সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানেই মিলবে কাজের সুযোগ।