মনে রবে কি না রবে ডা. মোরশেদ চৌধুরীকে?
- তাজবিদুল ইসলাম
ডা. মোরশেদ চৌধুরী আর নেই। তিনি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন গত ১৪এপ্রিল সকাল ৫টা ৪৮ মিনিটে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।কিন্তু কে এই ডা. মোরশেদ? তাঁর কথা আমাদের মনে রবে কি না রবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে?
ডা. মোরশেদ চৌধুরী এক মহাপুরুষের নাম। ইতিহাস তার নিজ প্রয়োজনেই কালোত্তীর্ণের খাতায় লিখে রাখবে এই মনিষীর নাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোরশেদ চৌধুরীর জন্ম ২৫ জুন, ১৯৪৯। পিতা আব্দুল হক চৌধুরী ও মাতা জাহানারা হক চৌধুরীর পুত্র ডা. মোরশেদ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ঢাকার গ্রাজুয়েটর হাই স্কুল, ১৯৬৬ সালে জগন্নাথ কলেজ ও ১৯৭২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে তাঁর শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা, বিচিত্রা সম্পাদক প্রয়াত শাহাদত চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা ফতেহ চৌধুরীর ছোট ভাই ডা. মোরশেদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় দেশ শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তখন খালেদ মোশারফের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের আওতায় গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন এই গুণী ব্যক্তি।
পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় আগরতলার বিশ্রামগঞ্জে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডা. মবিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেই হাসপাতালে সহযোগী চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তরিত হলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা পদ লাভ করেন।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্র পত্রিকায় একসময় নিয়মিত লেখালেখির পাশাপাশি ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই গুণী ব্যক্তি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোরশেদ চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।