এবারের উন্নয়ন বাজেট ১,০৯,২০০ কোটি টাকা
- নিউজ ডেস্ক
চলতি অর্থবছরের মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রস্তাবিত আকার ১ লাখ ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ব্যয় আরও ৯ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা।
আজ (১২ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদনের জন্য এ বিশাল এডিপি প্রস্তাব করছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের তদারকিতে থাকা প্রস্তাবিত ১ লাখ ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া হবে ৬৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। এই খাত এডিপির প্রায় ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বা ২৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে। এরপর শিক্ষা ও ধর্ম খাত ১৪ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে, যা এডিপির ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাত, ১২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা পেতে যাচ্ছে এটি, যা এডিপির ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
খাতওয়ারি বরাদ্দের বাইরেও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সহায়তার নামে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা রাখা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে থোক বা বিশেষ উন্নয়ন সহায়তা রয়েছে ১ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।
প্রতিবছর বিশাল এডিপি নেওয়া হয়। বাস্তবায়ন করতে না পারায় বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে তা সংশোধন করে কমানো হয়। চলতি অর্থবছরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর পরিকল্পনা কমিশনের তদারকিতে মূল এডিপির আকার ছিল ৯৭ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে তা কমিয়ে ৯১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ব্যয়সহ মোট এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংশোধিত এডিপির মাত্র ৫১ শতাংশ বা ৪৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। খরচের হারে যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।