চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা
- নিউজ ডেস্ক
চীনের বাজারে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনের প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
আজ (১৬ মে) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের কনফারেন্স রুমে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বে সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য এ সভায় অংশ নেন। অন্যদিকে চীনের ইয়ুনান প্রদেশের সিনিয়র অ্যাডভাইজার জং মিয়ানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সভায় অংশ নেন। এ সময় দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। চীনের আসন্ন কুনমিং ট্রেড ফেয়ারে বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শনীর জন্য কমপক্ষে ২০টি স্টল বরাদ্দ চান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
সভায় আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চল। এদেশে অনেক সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা বাড়াতে পারে চীন।
এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন চীনা প্রতিনিধি দলের প্রধান জং মিয়ান।
সভা শেষে মাতলুব আহমাদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের অধিকাংশ বাজারই চীনের দখলে। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য চললেও দেশটির কাছ থেকে বিশেষ কোনও সুবিধা পায় না বাংলাদেশ। তাই আগামীতে আমাদের পণ্য চীনের বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন কুনমিং ফেয়ারে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের এ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। দেশটির অন্যতম বৃহৎ এ বাণিজ্য মেলায় স্বতর্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। সাধারণত ওই মেলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি বড় প্যাভিলিয়ন দিলেও এবার দুটি প্যাভিলিয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ২০টি স্টল চাওয়া হয়েছে।
ওয়েস্টার্ন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ফারাক রয়েছে উল্লেখ করে মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। ওই অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে নির্দেশনার পাশাপাশি প্রয়োজনীর সহায়তা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে চীন সরকার। সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে এ দেশের ব্যবসায়ীরা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনে ৭৯১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে চীন থেকে ৮ হাজার ২২৩ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়।