বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে চিংড়ির
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে মাছের দাম বাড়ার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে অনেক দেশে ভেন্নামি চিংড়ির উৎপাদন কম হয়েছে। এতে এ দেশের বিভিন্ন জাতের চিংড়ির কদর বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রতি পাউন্ড চিংড়িতে এক ডলার বেশি দামও মিলছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের মাছ রফতানিতে।
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হিমায়িত ও জীবিত মাছ মিলে মোট আয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ এক হাজার ৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি থেকে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা প্রায় ৯৭৩ কোটি টাকা। মাছ রফতানির মধ্যে চিংড়ির অংশ প্রায় ৯১ শতাংশ। গত বছরের এ সময়ে প্রতি পাউন্ড চিংড়ি সাড়ে পাঁচ ডলারে রফতানি হয়েছিল। এবার গড়ে সাড়ে ছয় ডলার দাম মিলছে। আমদানিকারকরা অন্যান্য উৎস থেকে চাহিদা অনুযায়ী ভেন্নামি চিংড়ি না পাওয়ায় তারা এ দেশের বাগদা ও গলদা চিংড়ির দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন রফতানিকারকরা।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববাজারে চিংড়ি ও হিমায়িত মাছের দাম বেড়েছে। এ কারণে আয় বেড়েছে। তবে এখনও পরিমাণের দিক থেকে রফতানি তেমন বাড়েনি। বিদ্যমান বাজারে এ দেশের মাছের কদর বেড়েছে। এতে আরও রফতানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। ভেন্নামি চিংড়ির বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কম খরচে মাছ উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারের সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাছ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি আট লাখ ১০ হাজার ডলার। এর বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৭০ হাজার ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে এ খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জীবিত মাছ রফতানি বেড়েছে ৯২ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল আড়াই লাখ ডলার। এ ছাড়া হিমায়িত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে।