ফুলকপি চাষে অর্থনীতি বদল
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
কয়েকবার টানা লোকসান হলেও চুয়াডাঙ্গায় ফুলকপি চাষীদের মুখে এবার হাসি ফুটেছে। ফলন যেমন ভালো হয়েছে, দামও অনেক বেশি পাচ্ছেন তারা। তাছাড়া ঢাকার মোকামে চুয়াডাঙ্গার ফুলকপির চাহিদাও বেশ ভালো। এখানকার বিষমুক্ত ফুলকপি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে চলে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের ফুলকপি চাষী মান্টু বলেন, ‘এবার ঢাকায় ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা। তাই নিশ্চিন্তে বিক্রি করছি ভূঁই (জমি) থেকেই। তিনি জানান, গতবার এলাকার হাটবাজারে এই সময় ফুলকপি প্রতি মণ ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার তা বিক্রি করছি এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়।’
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে জানান, চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতকালীন আগাম সবজি হিসেবে ১ হাজার ৩৭১ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসূর জানান, যথারীতি ফুলকপির বাজারজাত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়েও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে এই ফুলকপি।
শুক্রবার সরেজমিন সদর উপজেলার বেলগাছি ও গাড়াবাড়ীয়ার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষীরা আনন্দের সঙ্গে ফুলকপি কেটে বিক্রি করছেন। মাঠেই বিভিন্ন এলাকার পাইকার এসে ট্রাক লোড করে নিয়ে যাচ্ছেন।