ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ করবে চীন
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ জানিয়েছেন, চীনের ওষুধ খাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর এফবিসিসিআই’র সম্মেলন কক্ষে দ্য চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) সানক্সি সাব–কাউন্সিলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জনান।
পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত এ চুক্তিতে এফবিসিসিআই’র পক্ষে সই করেন সংগঠনটির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ এবং সিসিপিআইটি’র পক্ষে সই করেন ভাইস চেয়ারম্যান লিউ শিনওয়েন।
চুক্তি সই উপলক্ষে সিসিপিআইটি’র ভাইস চেয়ারম্যান লিউ শিনওয়েনের নেতৃত্বে চীনের সানক্সি প্রদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও এফবিসিসিআইতে উপস্থিত হন এবং বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষীক আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘সানক্সি প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা মাত্র ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যেখানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা ১ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। ওরা (চীনের সানক্সি প্রদেশের ব্যবসায়ীরা) আমদেরকে মে মাসে দাওয়াত দিয়েছেন যাওয়ার জন্য।’
‘আলোচনায় দেখা গেছে, ওষুধ খাতে এদের সঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ ওষুধ খাতে উঠতি অবস্থানে রয়েছে। এখন আমরা আলোচনা করবো ট্রাক ও গাড়ির বিষয়ে’ বলেন মাতলুব আহমেদ।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগযোগ্য দেশ হিসেবে দেখছে। ওরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য এসেছে। ওষুধ খাতে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের চীনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের ব্যবসায়ীরা ওষুধ খাতের কোথায় বিনিয়োগ করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘ওরা কোন স্থান থেকে বিনিয়োগ করবে, এটি এখনো ঠিক হয়নি। তবে ওরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে এটি ক্লিয়ার (স্পষ্ট) জানিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, এই প্রদেশে চীনের প্রেসিডেন্ট জন্ম গ্রহণ করেছেন। প্রেসিডেন্টের এই জন্মস্থানের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও বেশি যাতে বন্ধুত্ব হয় সেটাই চান সফরত ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। ওনাদের প্রেসিডেন্ট এখানে (বাংলাদেশে) আসার পর তাদের (ব্যবসায়ী প্রতিনিধি) কাছে বার্তা এসেছে বাংলাদেশে এসে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে আলোচনা করার। কারণ তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান।
চুক্তির বিষয়ে মাতলুব আহমেদ বলেন, চুক্তির ফলে ওদের কি আছে এবং আমাদের কি আছে এ বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা হবে এবং তথ্য সংযোগ স্থাপন হবে। তাদের দেশের সুযোগ–সুবিধার পরিবর্তন এবং আমাদের দেশের সুযোগ–সুবিধার পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য একে অপরকে দেওয়া হবে। দুই দেশে যৌথভাবে প্রদর্শনী করা হবে। সেই সঙ্গে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আরও কাছে আনার জন্য চুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে।