কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ধীর গতি
- নিউজ ডেস্ক
২০১৫-১৬ অর্থবছরের শুরু থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে অনেকটা ধীর গতি দেখা গেছে । প্রথম তিন প্রান্তিকের কোনোটিতেই রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসের চিত্রও ছিল একই রকম। এপ্রিল মাসে চা, সবজি, তামাক, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে তিন প্রান্তিকের ৯ মাসে আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মে মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১০ মাসে ৪৮ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই সময়ে আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৫০ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১০ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ২৫ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তামাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এই খাতের আয় ২২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তামাক রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১০ মাসে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের তুলনায় ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে শুকনো খাবার রপ্তানিতে।