পাইকারিতে কমছে ডালের দাম
- অর্থ ও বাণিজ্য
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে মসুরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম কমতির দিকে রয়েছে। শীত মৌসুমে চাহিদায় মন্দাভাবের কারণে পণ্যটির বিক্রি কমেছে। সরবরাহ চাপে তাই কমতির দিকে রয়েছে ডালের বাজার।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল দিল্লি সুপার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৩১ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল ১৩২-১৩৩ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি ভালো মানের দেশী মসুর ডাল বিক্রি হয় ১১৫ টাকায়। সাতদিন আগে তা ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে এ সময়ের ব্যবধানে ভালো মানের দেশী মসুর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ৩ টাকা। নিতাইগঞ্জে গতকাল কিছুটা নিম্নমানের প্রতি কেজি মসুর ডাল ১১০ ও মোটা মসুর ডাল ৭৯ টাকায় লেনদেন হয়।
গতকাল প্রতি কেজি মুগডাল ৭১; বুটের ডাল ৮৪ ও চানাবুট ৭৬ টাকায় লেনদেন হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব ডালের দাম কেজিপ্রতি ১-২ টাকা কমেছে। নিতাইগঞ্জে গতকাল অ্যাংকর ডাল প্রতি কেজি ৩১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগে তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে গতকাল প্রতি কেজি ডাবলির দাম ৫ টাকা কমে ৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে নিতাইগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা জানান, নিতাইগঞ্জে মুসরসহ সব ধরনের ডালের বাজার দর কমতির দিকে রয়েছে। বাজারে এখন শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দামে সস্তা হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে সবজির চাহিদা বেড়েছে। ফলে নিতাইগঞ্জে ডালের বেচাকেনা কমে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের রাজলক্ষ্মী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী তুলসী সাহা জানান, ডালের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয় চট্টগ্রামের আমদানিকারকদের দ্বারা। তারা পণ্যটি আমদানির পর নিতাইগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বাদামতলীসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকেন। নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডাল কিনে নিজস্ব মিলে ভাঙিয়ে তা বিক্রি করেন। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল বৌ-বাজার এলাকার দোকানদার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পাইকারিতে ডালের দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব পড়েনি। যে কারণে খুচরা বাজারে আগের দামেই পণ্যটি বেচাকেনা হচ্ছে।
এদিকে শ্রীগুরু ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী শ্রী স্বপন দাস জানান, মুসর ডালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমলেও খেসারির বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে চাহিদার তুলনায় খেসারি ডালের সরবরাহ সংকট থাকায় এর দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেই দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
খুচার বাজারের ডালের ক্রেতা মহসিন আলম জানান, মুসর ডালের দাম এখনো অনেক চড়া। রমজানের সময় ডালের দাম বাড়ার পর তা আর কমেনি। ফলে পাইকারিতে কমলেও তাদের খুচরা বাজার থেকে চড়া দামেই পণ্যটি ক্রয় করতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ডাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু জানান, বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় ডালের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমছে।