আমার কাজ আমার হয়ে কথা বলুক : ইমরান খান
রবিউল কমল : অভিনেতা ইমরান খান দু’বছর পর পর্দায় ফিরে এলেন নিখিল আফবাণীর পরিচালনায় ‘কাট্টি বাট্টি’ সিনেমার মাধ্যমে। তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি বলিউড লাইফের সাথে এক আড্ডায় মেতেছিলেন ইমরান খান। সেখানে আড্ডাচ্ছলে তিনি তার বউ অবন্তিকা এবং তাদের ছোট্ট মেয়ের কথা জানান। আসুন তাহলে দেখে নেই বলিউড লাইফকে সেদিন কি বলেছিলেন ইমরান খান।
বাস্তব জীবনে অবন্তিকার সঙ্গে কতবার কাট্টিবাট্টি হয়?
- অনেকবার! সেটাই তো বাস্তব। ফিল্মে আমরা যা দেখি সেগুলো সবই বানানো। শুধু হিন্দি ছবি নয়, হলিউডেও এরকম অনেক ছবি হয়, যাতে সব পারফেক্ট। আমার আর অবন্তিকার যখন ঝগড়া হয়, তখন যার ভুল সে অন্যকে সরি বলি। আমাদের দু’জনের মধ্যে আমি ভীষণ জেদি। অবন্তিকা আবার অল্পতেই রেগে যায়। আমি সহজে রাগি না, কিন্তু একবার যদি রেগে যাই, তখন স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে।
কিন্তু বাবা হওয়ার পর আপনার মধ্যে নিশ্চয়ই অনেক পরিবর্তন এসেছে?
- প্রথম কয়েকমাস একটু কঠিন ছিল। বাবা না স্বামী, কোনদিকটায় বেশি নজর দেব বুঝতে পারতাম না। মনের মধ্যে একটা ভাগ হয়ে যায়। তাছাড়া বাচ্চাকে কতটা কি খাওয়ানো উচিত, তা নিয়ে একটা টেনশন থাকত সবসময়। রাতে শোওয়ার সময় বাচ্চার উপর আবার না শুয়ে পড়ি এমন দুশ্চিন্তাও হত। তাই মাঝে মাঝ ঘুমের মধ্যে উঠে চেক করতাম।
মেয়ের স্বভাবের সঙ্গে কার মিল বেশি, বাবার নাকি মায়ের?
- পার্সোনালিটি অনেকটাই অবন্তিকার মতো। তবে আমার মেয়ে আমার মতোই পশু-পাখিদের ভালবাসতে শিখেছে। আমাদের বাড়িতে তিনটা কুকুর আর ছয়টা বিড়াল আছে। ও সারাদিন ওদের পিছন-পিছন ঘুরে বেড়ায়।
মামা আমির খান সম্প্রতি কাট্টি বাট্টি দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন। কী বলবেন এ নিয়ে?
- আমি আর মামু দু’জনেই খুব ইমোশনাল। আমরা যখন সিনেমা দেখি তখন খুব ন্যাচারালি রিঅ্যাকশন দিয়ে থাকি। ভয়ের ফিল্ম দেখে ভয় পাই আবার মজার ফিল্ম দেখে খুব হাসি। আমিও কাট্টি বাট্টি দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম। এই ফিল্মটা শুধু প্রেমের নয়। এর মধ্যে অনেক ইমোশনাল ব্যাপার আছে। আমরা চাই সবাই সেটা দেখে সেই ইমোশন বুঝুক।
ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পজ়িশন কীভাবে দেখছেন?
- গত দু’বছরে আমি কোনও কাজ করিনি বা আমার সম্পর্কে কেউ কোথাও কিছু প্রচার করেনি। কারণ আমি সবসময়ই প্রত্যাশা করি আমার কাজ আমার হয়ে কথা বলুক। তারকাখ্যাতি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ নয়, ভাল কাজ করাটাই আসল ব্যাপার। ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে এমন একজন অভিনেতা দেখান যে ফ্লপ ফিল্ম দেয়নি! অভিনেতা হিসেবে আমি নিজেও জানি আমার কোন ফিল্ম চলতে পারে বা দর্শকদের ভাল লাগতে পারে। আবার কোনো ফিল্ম বাজে লাগবে। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’ যখন সেকেন্ড পার্টের শুটিং শুরু করি তখন আমরা কেউ ফোকাসড ছিলাম না। এখন আমি আমার মেয়ে আর বউকে ঘরে ছেড়ে যদি কোনও ফিল্মের শুটিংয়ে বাইরে যাই, তাহলে সেটা খুব স্পেশাল হওয়া উচিত। নইলে আমি সেই কাজ করব না। কাট্টি বাট্টির মতো ফিল্মে কাজ করে আমি খুব খুশি। একেবারে আমার মনের মতো একটা ফিল্ম এটা।
অবসর সময়ে ইমরান কী করেন?
- আমি ট্রাভেলিং করতে খুব ভালবাসি। খুব শিগগিরি আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে জার্মানি যাব, ONLY BOYS TRIP! অবন্তিকা ওর মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছে হংকং। আমরা একে অন্যকে স্পেস দিই আর সেটাই রিয়াল লাইফ।
টেলিভিশনে আপনি এখনও কাজ করেননি…
- টিভি আমি একদম দেখি না। আমার কোনো কিছু পছন্দ হয় না টেলিভিশনে। কিছু অফার এসেছিল কিন্তু আমি ‘না’ করে দিয়েছি।