জলির অভিষেক
বিনোদন ডেস্ক : জলির স্বপ্ন সিনেমার নায়িকা হওয়া। সে সুযোগও এলো। বেশ ঘটা করে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু বাঁধ সাধলেন বাবা। হার না মানা মেয়েটি বাড়ি ছাড়লেন সিনেমার জন্য। এ সব কথা আমাদের জানা। প্রথম সিনেমা ‘অঙ্গার’র শুটিং শেষ না হতেই বাবা এসে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। সিনেমা থাকল, পরিবারও থাকল। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ও ওয়াজেদ আলী সুমনের সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেস শোতে প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘অঙ্গার’। বাদ ছিলেন না জলি।
নানা কারণে একজন অভিনেত্রীর জীবনে প্রথম সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ। বলা যায়, তার জন্য পুরোপুরি সুযোগও পেয়েছেন জলি। জাজ মাল্টিমিডিয়া এ সময়ের সবচেয়ে বড় সিনেমা চেইন। প্রতিষ্ঠানটি নায়কের চেয়ে নায়িকাদের গুরুত্ব দেয়। ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টও করে থাকে। জলির হাতে আছে জাজের বড় দুটি ছবি। আরিফিন শুভন বিপরীতে ‘নিয়তি’ ও জিতের বিপরীতে ‘বাদশা’। দুই সিনেমার পরিচালকও নামজাদা। এখন শুধু সময় কাজে লাগানোর।
মৌসুমী, শাবনূর, পপির পর বাংলা সিনেমার হওয়া অনেকটা বদলেছে। এক মাহি ছাড়া কোনো নায়িকারই নামে সিনেমা চলে না। নায়কই ভরসা! কেমন নায়ক আছেনই বা কয়জন! নায়িকা বলতে মাহির বাইরে আলোচনায় আছেন পরী মনি ও নুসরাত ফারিয়া। বিদ্যা সিনহা মিমকে এ তালিকার বাইরেই রাখতে হবে। নায়িকা হিসেবে প্রথম থেকে যে ধরনের আলোচনা তুলে আসতে হয়, তা অনেক আগে পার হয়ে এসেছে তিনি।
আপাতত জলির প্রথম অপশন জাজের ব্যানারে বড় সিনেমা। ‘অঙ্গারে’ তাকে সবটুকু প্রমাণ করতে হবে। কারণ, জাজের সিনেমার নায়ক সাধারণত ভারতের হয়ে থাকে। ফলে, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের দায় পড়ে নায়িকার উপর। এ ছাড়া আপাতত অন্য কোনো বড় ব্যানারে গিয়ে ছবি করার সুযোগ জলির কাছে খুব একটা নেই। ‘অঙ্গারে’ কলকাতার ওমের সঙ্গে জলি। সিনেমাটি ৮৭টি হলে মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া জাজের বাইরে খুব কমই অভিনেত্রী অভিনয়ের কলা-কৌশল শিখে সিনেমায় নামেন। সে অভিজ্ঞতা আছে জলির। সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিভা ও পরিশ্রমের বিকল্প নাই। জলি তা জানেন।
সিনেমা হিসেবে ‘অঙ্গার’র উপর জাজের প্রত্যাশা অনেক। ১০ বছরের রেকর্ড হয়তো ভাঙবে না, কিন্তু বছরের প্রথম বড় বাজেট ও নির্মাণের কারণে দর্শকের আগ্রহে আছে। তাই এটাই সুযোগ কাজে লাগানো। আশা করা যায় জলি পারবেন।