সিনেমা হল-শুণ্য হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও শহর
- হাসনাত কাদীর
ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে সিনেমা হল ছিল ছয়টা। ব্যবসাসফল ছবির অভাবে বন্ধ হতে হতে এখন শুধু ‘বলাকা সিনেপ্লেক্স’ নামের হলটি টিকে আছে। দীর্ঘ দিন ধরে লোকসান গুনে সেটিও এখন বন্ধ হবার উপক্রম।
হলটির দায়িত্বরত ম্যানেজার মো. সোহেল জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে হলটি লোকসানে চলছে। হলের সাপ্তাহিক খরচ ৩০-৩৫ হাজার টাকা। সপ্তাহে গড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসানে আমরা ছবি চালাচ্ছি। লোকসানে ছবি চালানোর উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বছরের মাঝামাঝি সময়টার দিকে তাকিয়ে আছি। সামনেই কিছু ভালো ছবি আসছে। তখন ব্যবসা হবে এই আশায় আছি। তাছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের বলাকা সিনেপ্লেক্স একটি ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল। এটা বন্ধ করা হল-মালিকের জন্য ‘প্রেস্টিজিয়াস’ ব্যাপার। কিন্তু শুধু প্রেস্টিজ দিয়ে তো চলে না। এ বছরও ব্যবসা না হলে সিনেমাহলটি তাই বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকে না।
বলাকা সিনেপ্লেক্সে তখন সান্ধ্য-শো চলছে। সর্বমোট দর্শক ৮জন। সিনেমাহলে দর্শক না আসার কারণ জানতে চাইলে সোহেল বলেন, ‘দর্শক আসবে কেন? সিনেমাহলে যাদের ছবি চালাচ্ছি ওরা ছবি বানাতে আসছে নাকি? ওরা তো আসছে ফুর্তি করতে। না হলে এই ছবি বানায় নাকি? না আছে মেকিং, না আছে গল্পের আগামাথা। এগুলো তো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া দরকার!’
ঠাকুরগাঁওবাসীর সিনেমা দেখার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর শো’গুলিতে পুরুষ দর্শকের পাশাপাশি আমরা ২-৩শ’ করে মহিলা দর্শক পেয়েছি। প্রচুর সিনেমাদর্শক আছেন এখানে। প্রয়োজন শুধু বছরে ১২টা ভালো ছবি।