কেঁচো সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামের ছলেমান মুন্সী চার বছর ধরে কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে আসছেন। এ ছাড়া উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিত্যগোপাল বিশ্বাসও তিন বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। কম্পোট সার হলো কেঁচো দিয়ে উৎপাদিত একটি জৈব সার। কেঁচো দিয়ে উৎপাদিত হয় বলে এলাকায় এটা কেঁচো সার নামে পরিচিত। রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সার অনেক ভালো। ধান, পাট কিংবা সবজি ক্ষেতে যেখানেই ব্যবহার করা যায়, সেখানেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। রাসায়নিক সার থেকে এটা সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। কেঁচো সার উৎপাদন প্রক্রিয়াও খুব সহজ। স্থানীয় এনজিও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাইকহাটি গ্রামের ছলেমান মুন্সী সার উৎপাদন শুরু করেন।
সার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যেসব উপকরণ লাগে, তাও সরবরাহ করে এসডিসি। একটি চেম্বার তৈরি করার জন্য লাগে বড় সাইজের একটি স্যানিটারি চাড়, গোবর এবং কেঁচো। চাড়ের মধ্যে গোবর এবং কেঁচো রেখে দিলে ১৫ দিনের মধ্যে সার হয়ে যায়। প্রতি কেজি সার ১৫ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। ছলেমান মুন্সী বলেন, এ চার বছর আমি নিজের জমিতে কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। এ সার নিজের জমিতে ব্যবহার করি এবং বিক্রিও করি। এদিকে নিত্যগোপালের স্ত্রী বিজলী বিশ্বাস বলেন, তার দুটি চেম্বার থেকে মাসে ৬০-৭০ কেজি সার উৎপাদন হয়। ২৫ টাকা কেজি দরে তারা সার বিক্রয় করেন। এ সার উৎপাদন করে তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। শুধু ছলেমান মুন্সী আর নিত্যগোপালই নন, এ উপজেলার শতাধিক পরিবার কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সাতৈর ইউনিয়নেই ৭২টি পরিবার এসডিসির সহায়তায় কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।