বাংলাদেশে বাড়ছে সামাজিক ব্যবসা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
সামাজিক ব্যবসা কি বিশ্বের বুকে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে অনেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে। কারণ ব্যবসা সম্পর্কে এখন এমন একটা কথা প্রচলিত যে, ব্যবসাকে হতে হবে জনবান্ধব। সেই জনবান্ধব ব্যবসার নতুন ধারনার নাম ‘সামাজিক ব্যবসা’। সামাজিক ব্যবসার বেশিরভাগ উপকরণই দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনকেন্দ্রিক। ইউনূস সেন্টার এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো সারা বিশ্বে এই সামাজিক ব্যবসা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে। আশার কথা, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সামাজিক ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক ব্যবসা নিয়ে গবেষণাপ্রবন্ধ লিখেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সোস্যাল বিজনেস সেলের প্রধান মাসুদ ইবনে রহমান। ‘বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসায় ধারণা’ শীর্ষক সেই গবেষণায় তিনি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে কীভাবে এই ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করা যায়। গবেষণার প্রয়োজনে তিনি কথা বলেছেন তিন ধরনের মানুষের সঙ্গে-ব্যবসায়ী, ব্যাংকার এবং তাত্ত্বিকদের সঙ্গে।
মাসুদ ইবনে রহমান তাঁর গবেষণা ফলাফলে দেখিয়েছেন-
১. সামাজিক ব্যবসা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মনে ব্যপকভাবে নাড়া দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সভা-সেমিনার প্রচারণা এবং গণমাধ্যমের কারণে এই সচেতনতা তৈরি হয়েছে।
২. তবে এখন পর্যন্ত অনেক মানুষের মধ্যেই সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসার কাজ কী, সে সম্পর্কে জানাশোনা নেই অনেকেরই।
৩. অধিকাংশ মানুষ সামাজিক উদ্যোগ এবং সামাজিক ব্যবসাকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। কেউ কেউ সামাজিক ব্যবসার কাজকে মনে করছেন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ।
৪. মানুষ বিশ্বাস করে এবং প্রত্যাশা করে, দারিদ্র বিমোচনে সামাজিক ব্যবসা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
গবেষণা প্রবন্ধের শেষে কিছু সুপারিশ পেশ করেছেন মাসুদ ইবনে রহমান। যেমন-
১. সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসা উচিত। একই সঙ্গে তরুণদের উচিত সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
২. সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের সহজশর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।