ভেঞ্চার ক্যাপিটাল: স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
একজন উদ্যোক্তা যখন একটি অভিনব ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন তখন তার প্রয়োজন অর্থ, মেধা, অভিজ্ঞতা এবং উদ্যম। ব্যবসাটি শুরু করার পর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন অর্থ লগ্নির প্রয়োজন পড়ে তখন ওই উদ্যোক্তা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও নিকটাত্মীয়দের কাছে ধর্না দেন। কিন্তু ওই নতুন ব্যবসার মাধ্যমে যদি নতুন নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, ব্যবসায় যদি ব্যাপক সফলতার ইঙ্গিত মেলে তাহলে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই বড় ধরনের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থে মেটানো সম্ভব হয় না। তখনই ওই নতুন উদ্যোক্তা দ্বিতীয় বা তৃতীয় উৎসের খোঁজ করেন।
আমাদের দেশে সাধারণত এ ধরনের প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শরনাপন্ন হয়। কিন্তু ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদের জন্য টাকা দিতে চায় না, বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের সব ঋণ কার্যক্রমই স্বল্পমেয়াদী। তাছাড়া ব্যাংকগুলো কোম্পানির কাছ থেকে তাদের লগ্নিকৃত অর্থ সময়মতো ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি পেলেই ঋণ দেওয়ার কথা ভাবে। এর বাইরে, কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের পূর্ববর্তী ব্যবসায়িক সফলতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়। এরপর যদি ওই ব্যবসা ভবিষ্যতে ভাল করবে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস জন্মে তবেই তারা ঋণ ছাড়ের কথা চিন্তা করে।
এ তো গেল ঋণ পাওয়ার পূর্বশর্ত। ঋণ পাওয়ার পর শুরু হয় শর্তের বেড়াজাল মেনে চলার ঝক্কিঝামেলা এবং সময়মতো ঋণ ফেরত দেওয়ার চাপ। বাংলাদেশে এই চাপ আরও বেশি। কারণ এদেশে ব্যাংকঋণের বিপরীতে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। উচ্চহারে সুদসহ ঋণের টাকা জমা দেওয়া এবং পরিচালনা ব্যয় মেটাতে গিয়ে নতুন ব্যবসাগুলো উঠে দাঁড়াতে পারে না। অনেক সময় নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসার মূলধনে হাত দিতে বাধ্য হন।
অন্যদিকে, ভেঞ্চার ক্যাপিটালে ব্যাংকের মতো এতসব শর্তের বালাই নেই। কারণ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিজ থেকেই নতুন নতুন ব্যবসা পরিকল্পনার খোঁজ করে। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কাজ হচ্ছে অভিনব এবং সৃজনশীল কিন্তু সম্ভাবনাময় উদ্যোগের সন্ধান করা এবং বিনিয়োগ করা। যেসব স্টার্ট-আপ কোম্পানির দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা আছে সেখানে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের যোগান দেয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। তাই ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বলা হয় স্টার্ট-আপ কোম্পানির জন্য বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
আইনি কাঠামো
২০১৫ সালের ২২ জুন প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস, ২০১৫-তে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এ আইনে ‘অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ বা ‘ফান্ড’ বলতে ট্রাস্টের আদলে যেকোন ‘প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড’ অথবা ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড’ অথবা ‘ইমপ্যাক্ট ফান্ড’ অথবা অন্য কোনো নামের ফান্ড সবগুলোকেই বোঝাবে।তবে এই ফান্ডগুলোকে কমিশনের স্বীকৃতি পেতে হবে।
শূন্যস্থান পূরণে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
কিছু নতুন উদ্যোক্তা আছেন যাদের কাছে শুধুমাত্র নতুন আইডিয়া এবং প্রযুক্তিই একমাত্র মূলধন। প্রথাগত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের এ সব উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে চায় না। ব্যাংকগুলো এসব স্টার্ট-আপে শুধুমাত্র তখনই লগ্নি করতে এগিয়ে আসে যখন উদ্যোক্তা বা কোম্পানির মালিকানায় প্রয়োজনীয় স্থাবর সম্পত্তি থাকে। কারণ, ব্যবসা মার খেলেও যেন ওইসব সম্পদ বিক্রি করে লগ্নিকৃত টাকা ওঠানো যায় ব্যাংকগুলো সে নিশ্চয়তা পেতে চায়। অথচ, বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতিতে বেশিরভাগ স্টার্ট-আপেরই স্থাবর সম্পদ থাকে না। অন্যদিকে ব্যাংক এবং পাবলিক ইকুইটিগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখভালের ব্যাপারে দায়বদ্ধ থাকে। এজন্য তারা সহায়-সম্বলহীন নতুন স্টার্ট-আপে বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চায় না।
আবার, উল্লেখযোগ্য মুনাফার ইতিহাস না থাকলে একটি নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে প্রবেশের অনুমতিই পায় না। ফলে প্রথাগত ব্যাংকিং সিস্টেম এবং পুঁজিবাজার এই দুই জায়গা থেকেই স্টার্ট-আপগুলো বিনিয়োগ আকর্ষণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে স্টার্ট-আপে বিনিয়োগের শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে আসে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট আসলে কী করেন
ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের মূল কাজ হচ্ছে- নতুন এবং দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা। নতুন নতুন পণ্য বা সেবার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতা করাও তাদের কাজ। তাছাড়া সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে নতুন কোম্পানির ভাবমূর্তি উন্নয়ন এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর কাজটিও তাদের। ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার মতোই বেশি ঝুঁকি নিতে পরোয়া করেন না। কারণ, বেশি ঝুঁকি মানে বেশি মুনাফা।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বৈশ্বিক চিত্র
নতুন কোম্পানির পোর্টফোলিও উন্নয়নের মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা ভেঞ্চার তহবিলের বিনিয়োগের ঝুঁকি কমিয়ে আনেন। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা অন্যান্য পেশাদার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সাথে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেন। এতে বিনিয়োগ ঝুঁকি আরও কমে যায়। তাছাড়াও, বিভিন্ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের যৌথ বিনিয়োগের বাইরে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা স্বতস্ফূর্তভাবে নতুন নতুন ফান্ড জোগাড় করতে থাকেন। গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা নতুন সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তাগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ফলে আগের ওই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন বিশ্বজুড়ে দাপটের সাথে ব্যবসা করছে। তৈরি হয়েছে অগণিত কর্মসংস্থান। সাথে সাথে বেড়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা। ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন, অ্যাপল, ফেডারেল এক্সপ্রেস, কমপ্যাক, সান মাইক্রোসিস্টেমস, ইন্টেল, মাইক্রোসফট, জেনেটেক এবং গুগলের মতো দানবীয় আকারের বহুজাতিক কোম্পানি ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের হাত ধরেই উঠে এসেছে। যদি কোম্পানিগুলো স্টার্ট-আপ থাকাকালীন ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সহযোগিতা না পেত তাহলে আজ হয়ত প্রযুক্তি জগতের এই মহারথীগুলোর দেখা মিলত না।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালের গঠনপ্রণালী
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফান্ড ম্যানেজার, বিনিয়োগকারী, ট্রাস্টি এবং কোম্পানি।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন অনুযায়ী ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব হল- বিজ্ঞপ্তি, সার্কুলার, নীতিমালা এবং নির্দেশনাসহ প্রযোজ্য আইন মোতাবেক এবং ভেঞ্চার ফার্মের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফান্ড সংগ্রহ করা, যাতে অবৈধভাবে নিজের এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ছাড়াই ইউনিটধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা যায়।
ভেঞ্চার ফান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করবেন ফান্ড ম্যানেজার। কোনো পোর্টফোলিও কোম্পানিতে ফান্ড ম্যানেজার, পরিচালক, কর্মকর্তা এবং ইনভেস্টমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দের কোনো ধরনের বস্তুগত স্বার্থ থাকবে না। ফান্ড ম্যানেজার স্টার্ট-আপে বিনিয়োগের ঝুঁকি এবং মুনাফা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদেরকে ভালভাবে অবহিত করবেন। ফান্ডের ট্রাস্টিদের অনুমোদনক্রমে ফান্ড ম্যানেজার ‘ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ তৈরি করবেন এবং সেই গাইডলাইন যথাযথভাবে মেনে চলবেন।
ফান্ড ম্যানেজার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের বিনিয়োগকারী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বার্থগত সংঘর্ষ নিরসনের উদ্দেশ্যে কোড অব কন্ডাক্ট বা আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করবেন।
ফান্ড ম্যানেজার বিদ্যমান আইন, নীতিমালা এবং চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করবেন। ইনভেস্টমেন্ট গাইডলাইন, ইনভেস্টমেন্ট কমিটি এবং ট্রাস্টিদের অনুমতি সাপেক্ষে ফান্ড ম্যানেজার প্রত্যেকটি বিনিয়োগ করতে বাধ্য।
পোর্টফোলিও কোম্পানির কর্মকান্ড খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন ফান্ড ম্যানেজার। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে কোম্পানির ম্যানেজমেন্টেও অংশ নিতে পারেন। তাছাড়া ওই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিত্বও তিনি করতে পারেন। তবে তা হতে হবে ফান্ডের ট্রাস্টিদের অনুমোদন সাপেক্ষে। বিনিয়োগ নীতিমালা এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের কোনো বিষয় ট্রাস্টি এবং ইউনিটহোল্ডারদের বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না।
মূল্য নির্ধারণী কৌশল অনুযায়ী ফান্ডের মূল্যমান ঠিক করতে হবে। এই কাজটি বছরে কমপক্ষে দুইবার করতে হবে। এজন্য ট্রাস্টির পক্ষ থেকে ‘স্ট্যাটুটরি অডিটর’-এর বাইরে আলাদা এবং স্বাধীন ‘ভ্যালুয়ার’ নিযুক্ত করতে হবে।
ফান্ডের ভ্যালুয়েশন মেথডোলজি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট ইকুইটি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ভ্যালুয়েশন গাইডলাইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা দেখভাল করবেন ফান্ড ম্যানেজার। তবে এজন্যও ট্রাস্টির অনুমোদন লাগবে। মেথডোলজির পরিবর্তন হলে ফান্ডের বার্ষিক রিপোর্ট এবং চুক্তিপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের ইউনিটহোল্ডাররা যদি কোনো বিশেষ সিদ্ধান্ত নেন তাহলে অনতিবিলম্বে কমিশনকে জানাতে হবে। সর্বোপরি, ফান্ড ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ কার্যকরভাবে সুরক্ষার জন্য লিখিত নীতিমালা, পদ্ধতি বা কৌশলসমূহ যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং বাস্তবায়ন করবেন।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কীভাবে কাজ করে
আসলে সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা যত বিনিয়োগ করেছেন তার ৮০ শতাংশের বেশি কোম্পানিগুলোর গ্রোথের সময়ে করা হয়েছে। কোম্পানির জীবনচক্রে ব্যাপকভাবে প্রবৃদ্ধি হওয়ার এই সময়টায় বিনিয়োগের ফলাফল লাভ বা ক্ষতি যাই হোক না কেন দুটোই একইরকম। ভুল খাতে বিনিয়োগ এবং অপ্রচলিত বাজারের প্রাযুক্তিক ঝুঁকি দুটোই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এমন খাত বেছে নেওয়ার মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের ঝুঁকির দায় কোম্পানির ব্যবস্থাপকদের উপর ছেড়ে দিতে পারে। তাছাড়া সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মুনাফাসহ তাদের বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার রাস্তা খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারে। কারণ, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকাররা প্রতিনিয়ত উচ্চ-প্রবৃদ্ধির নতুন নতুন বাজারের সন্ধান করেন। ফলে সম্ভাবনাময় খাত বিবেচনায় নতুন ওই কোম্পানি কিনে নিতে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকাররা পিছপা হন না। কারণ তাদের সামনে তখন বেশি লাভ, বেশি কমিশন।
যদি ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা বাজারের শীর্ষে ওঠা পর্যন্ত ওই কোম্পানির সাথে থাকেন, তাহলে সেখান থেকে বিপুল মুনাফা অর্জন করতে পারেন। অভিজ্ঞ ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ খাতে বিনিয়োগ করেন, যেখানে প্রথাগত উপায়ে স্বল্প পরিমাণ অর্থায়নও সহজে আকর্ষণ করা যায় না। ফলে তুলনামলক কম সময়ের মধ্যে তারল্য সরবরাহ করতে পারে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায়। তাছাড়া ভাল মুনাফা করা যায় বলে সফল ম্যানেজমেন্ট টিমকে বড় মাপের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হয়।
রেফারেন্স: এই লেখাটি তৈরি করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ অন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল-এর সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
লেখক: মাহবুব এইচ মজুমদার। পরিচালক, অ্যাথেনা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড।