প্রচলিত ব্যবসা ও ভার্চুয়াল অর্থনীতির মধ্যে সেতু গড়েছে ‘এমএনআই’
- নাহিদুল ইসলাম
ডিজিটাল অর্থনীতির এই যুগে ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নানা নীতিমালা তৈরি করছে। এসব কারণে ব্যবসা ও অন্যান্য সেক্টরে ব্লকচেইনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। সিভিসোর্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্লকচেইন সম্পর্কিত উদ্যোগগুলোর মূলধন প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা অন্যান্য উদ্যোগের মূলধনের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি।
অপরদিকে ব্যাংক অব ইন্দোনেশিয়া বলছে, ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তারা নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনা করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াই সর্বপ্রথম এমন একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। তাদের এই উচ্চাকাঙ্খাই প্রমাণ করে, ব্লকচেইন বিকাশের প্রতিযোগিতায় ইন্দোনেশিয়া প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
ইন্দোনেশিয়ার সমস্ত ব্লকচেইন স্টার্টআপগুলোর মধ্যে ‘এমএনআই’ সর্বমহলের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। কারণ, এটি প্রচলিত ব্যবসা এবং ভার্চুয়াল অর্থনীতির মধ্যে এক ধরনের সেতুবন্ধ তৈরি করেছে।
টোকেনাইজেশন নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে এমএনআই। এটি ব্লকচেইনভিত্তিক একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ব্যক্তির সম্পদ তথা অর্থকড়িকে বিনিময়যোগ্য করা যায়। শুধু তাই নয়, এটি সময় এবং স্থানের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়।
টোকেনাইজেশন একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেল। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য এটি এর অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। এই মডেলটি প্রচলিত ব্যবসার সঙ্গে ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে সংযুক্ত করেছে। আবাসন ব্যবসা, শেয়ার হোল্ডিং, অবকাঠামো, খনন কাজ ইত্যাদি ব্যবসায় বৈচিত্র এনেছে এমএনআই। এখন অব্দি আবাসন ব্যবসা, পর্যটন ব্যবসা ও বাণিজ্যিক শিল্প সংস্থাগুলো সঙ্গে এক ধরনের অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে এমএনআই।
এমএনআইয়ের অন্যমত সেবার নাম মান্দি টোকেন। ভবিষ্যতে এশিয়ার দেশগুলোর বিভিন্ন এক্সচেঞ্চে তালিকাভুক্ত হবে মান্দি টোকেন। ফলে এতদঞ্চলের আর্থিক লেনদেন আরও সহজতর হবে।
সূত্র: ব্লকম্যানিটি ডটকম
নাহিদুল ইসলাম : শিক্ষার্থী, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি