যখন জার্মানিতে পড়তে গিয়েছিলাম…
- ইকবাল ভূঁইয়া
আজ থেকে সাত বছর আগে, সেই ২০১০ সালে যখন জার্মানীতে মাস্টার্স পড়তে গিয়েছিলাম, তখন জার্মানির ভোর্মস বিশ্ববিদ্যালয়ে (http://www.hs-worms.de/) তথা ভোর্মস শহরে আমিই ছিলাম একমাত্র বাংলাদেশী। তিন বছর পরে যখন দেশে ফিরে আসি, তখন প্রায় এক ডজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ভোর্মস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
তো এই তিন বছরে এত শিক্ষার্থী কিভাবে জার্মানি গেল পড়তে? সেই গল্পই শোনাব আজ।
২০১৩ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের পর জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স চালু করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজম্যান্টের সহযোগিতায়। শিক্ষকও ছিলাম আমি। ৮ জনের মতো ছাত্র ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলো মাত্র ৫ জন। তার মধ্যে দুইজন ( ইউনূস আলী মোহাম্মদ নোমান ও তানভির রহমান অভি) জার্মানির কিয়েল ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সে বর্তমানে পড়াশোনা করছে।
এছাড়া শাহজালাল মানিক জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়ে ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। আর একজন শিক্ষার্থী এ বছর স্নাতক সেম্পন্ন করেছে। আশা করি তিনিও জ্যেষ্ঠদের মতো উচ্চ শিক্ষায় সাফল্যের পতাকা ওড়াবেন। ওদিকে আরেকজন শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান জাপানের শিমান ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।
এ তো গেল জার্মানির গল্প। এবার কোরিয়ার গল্প শুনুন। ২০১৪ সালের শেষদিকে কোরিয়া এসেছিলাম। প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিলো এক্সচেঞ্জ প্রোগাম সাফল্যের সঙ্গে চালু করা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষের তাগিদ এবং সহযোগিতা ছিলো অফুরান। তারই ধারাবাহিকতায় এক্সচেঞ্জ শিক্ষার্থী হিসেবে এক সেমিস্টার পড়ার করার জন্যে মারুফ আহমেদ গত ৫ মার্চ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পৌছেছেন। আশা করি আগামীতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ঝাক ছাত্র-ছাত্রীর পদচারণায় সবসময় মুখরিত থাকবে চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস।
ইকবাল ভূঁইয়া : শিক্ষক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি