মেডিটেশন জীনের অভিব্যাক্তি পাল্টে দেয়
মোস্তাফিজুর রহমান : একাগ্র অর্থাৎ মেডিটেশন আমাদের মানসিক চাপ কমিয়ে বর্তমান মহুর্তের প্রতি মনোযোগী করে তোলে। এটা প্রমানিত যে, একাগ্রতা আপানর স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষত রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে এবং খাপার ব্যাপারে আগ্রহ দমাতে।
তবে এক নতুন গবেষণায় ওয়াশিংটন, স্পেন এবং ফ্রান্সের একদল গবেশক দেখেছেন যে, একাগ্রতা জীনগত বৈশিষ্টের উপরেও প্রভাব ফেলে; বিশেষ করে জিনগত উত্তেজনাকর অভিব্যাক্তি নিয়ন্ত্রনে।
স্পেনের ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যেল রিসার্স অফ বার্সেলোনার গবেষক লেখক ডা: পার্লে কালিমান এক লিখিত বিবৃতিতে উল্যেখ করেন, উত্তেজক এবং বেদনানাশক ঔষধের প্রতি আসক্তি কমায় মেডিটেশন। তিনি একটি গবেষনা পরিচালনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আমাদের অনুসন্ধান ভবিষতে মেডিটেশনের মাধ্যমে উত্তেজনা বা নেশাগ্রস্থতার চিকিৎসার ভিত হিসাবে কাজ করবে।
এই অনুসন্ধানের জন্য, একটি অভিজ্ঞ মেডিটেশন দল আট ঘন্টা ব্যাপি এক কোর্সে অংশ নেয়। অপরদিকে অন্য একটি দল একই সময় জুড়ে, সাধারণ তবে মেডিটেশন নয় এমন শান্ত কাজে অংশ নেয়।
গবেষকরা কি পেলেন? পর্যবেক্ষন শেষে তারা লক্ষ করলেন, সাধারণ দলের চেয়ে মেডিটেশন করা দলের মধ্যে উত্তেজক জিন অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত এবং নমনিয়। অথচ সমিক্ষা শুরুর সময় উভয় দলের জিনের বৈশিষ্টের কোন তারতম্য ছিল না।
জিনের উৎপাদসমুহ বিশেষ করে প্রটিনের তারতম্য হয় জিনের কার্যকালাপ বন্ধ এবং শুরু হওয়া উপর। ম্যাডিসনের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিং হেলদি মাইন্ডস এর প্রতিষ্ঠাতা লেখক ড: রিচার্ড জে ডেভিডসন বলেন, আমার জিনের কার্যক্রমকে আনবিক আয়তনের সাথে তুলনা করতে পারি যা নিম্ন থেকে উচ্চপর্যায়ে জিনের ব্যাপ্তি পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রন করে । যেসব জীনকে আমরা নিয়ন্ত্রিত পায়, তা একাগ্রতার মাধ্যমে অর্জিত। ডেভিডসন এই নতুন গবেষণায় প্রথম বলেন, যে একাগ্রতা অর্থাৎ মেডিটেশন জিনের বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে দেয়।